সিলেটে কাউন্সিলরে’র নেতৃত্বে ইংল্যান্ড প্রবাসীর সাথে ম্যাজিস্ট্রেটের অশালীন আচরণ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ০১ ২০২০, ০৫:১৮

সিলেটের মজুমদারীতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বাংলাদেশী বংশদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করল ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট। ১৫ দিন কোয়ারেন্টিন সময় পার হওয়ারপরও স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কয়েছ লোদীর নেতৃত্বে মেজিস্ট্রেট এই জরিমানা করেন । ব্রিটিশবাংলাদেশীর অনুমুতি না নিয়ে অপমান জনক ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া হয় যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিরোধী। ভিডিওতে দেখাযায় কাউন্সিলর কয়েস লোদীর নেতৃত্বে ১০/১২জনের ক্যাডার বাহিনী, পুলিশ ও মেজিস্ট্রেট মিলে যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে হেনস্থা করে।

মেজিস্ট্রেটের আচরন ছিল খুবই উগ্র ও অশালীন । তারা যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে ভাইরাস বলে কটুক্তি করে এবং জোরপূর্বক ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। তারা হুমকি দেয় জরিমানার টাকা না দিলে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবে এবং ৬ মাসের জেল কাটতে হবে। ভিডিওতে দেখা যায় মেজিস্ট্রেট তাকে গেইট থেকে একটু সরে গিয়ে পিলারের সাথে দাঁড়াতে বলে কৌশলে পুলিশের লোক গেইটে দাঁড়াতে বলে। দুই জন পুলিশ সদস্য একজন গেইটের ভিতরে এবং অন্যজন গেইটের ভেতরে অবস্থান নেয় যেন প্রবাসী বাড়ির ভেতরে ঢুকতে না পারে।

ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রবাসীকে হযবল বাংলায় আইনের ধারা পড়ে শোনান মেজিষ্ট্রেট। অথচ ভাল করে বাংলাই পড়তে পারেননা কতিপয় ওই ম্যাজিস্ট্রেট। নেককার জনক এই ঘটনায় অসহায় প্রবাসী আইডি চাইলে একপর্যায়ে কয়েছ লোদীর ক্যাডাররা প্রবাসীকে মারার জন্য উদ্ধত হয়। ভুক্তভোগী তাদের কাছে জানতে চান কাউকে বাড়ী থেকে ডেকে এনে জরিমানার বিধান আইনে আছে কি না, সেটাও মেজিস্ট্রেট তাকে বলেনি।

উল্লেখ্য যে উক্ত প্রবাসীকে পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রতিনিধি বাহিরে কোথাও পাননি। এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্টজনেরা কঠোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সিলেট একটি প্রবাসী অধ্যুষিত আধ্যাত্মিক নগরী। এখানে বেশিরভাগ লোকই যুক্তরাজ্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। করোনা ভাইরাস একটি মহামারি, কেউ ইচ্ছে করেই করোনা আক্রান্ত হয় না। সারা বিশ্বে যখন লকডাউন চলছে। প্রত্যেক দেশেই তার দেশের নাগরিককে সম্মান দিচ্ছে। সেখানে কয়েছ লোদীর নেতৃত্বে বাড়ী থেকে ডেকে এনে প্রবাসীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা জেলে দেয়ার হুমকি দেয়া এবং অপমানজনক ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপুরণ দাবি করছে প্রবাসীরা।