সিলেটে একদিনেই পাল্টে গেলো করোনাক্রান্ত ২৫ লন্ডন প্রবাসীর রিপোর্ট

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ২৭ ২০২১, ০৬:৪৯

সিলেটে একদিনে বদলে গেছে করোনাক্রান্ত ২৫ লন্ডনির টেস্টের রিপোর্ট। দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় তারা ‘নেগেটিভ’ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের (জিইবি) আরটি-পিসিআর ল্যাবে এ ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

এর আগে যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে আসা ২৯ জন প্রবাসীর শরীরে মহামারি করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। প্রথমবার সীমান্তিকের ল্যাবে তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিলো।

মঙ্গলবার ২৫ প্রবাসীর টেস্টের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান।

তিনি বলেন, গত ২১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটে সিলেটে আসেন ১৫৭ জন প্রবাসী। রবিবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সীমান্তিকের ল্যাবে পরীক্ষা করা হলে ২৮ জন করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। এর আগে আসা আরেকজনের শরীরেও ধরা পড়ে করোনা। এ ২৯ জনের নমুনা মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা করা হয় শাবিপ্রবির ল্যাবে। দ্বিতীয় বার তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

একদিনের ব্যবধানে রিপোর্ট পরিবর্তনের বিষয়ে ডা. আনিসুর রহমান সিলেটভিউ-কে বলেন, এটি অস্বাভাবিক নয়। বিভিন্ন কারণে একদিনের ব্যবধানে রিপোর্ট বদলাতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে- আগে ঠিকমতো নিয়ম মেনে স্যাম্পল কালেকশন করা হয়নি। টেস্ট প্রক্রিয়া ইরোরও হতে পারে। অথবা ল্যাবেও সমস্যা থাকতে পারে। সর্বোপরি- ১৪ দিনের আগেও অনেকে করোনামুক্ত হতে পারেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য থেকে আসা সিলেটের ২৮ জন প্রবাসী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরে উদ্বীগ্ন স্বাস্থ্যবিভাগও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই প্রবাসীদের শারীরিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করতে ঢাকা থেকে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একটি বিশেষ টিম এসেছে সিলেটে। ৭ সদস্যের ওই টিম মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটে এসে পৌঁছায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল।

তিনি জানান, আইইডিসিআরের টিম করোনাক্রান্ত প্রবাসীদের শারীরিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবে। তারপর সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন তারা।

এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. ময়নুল হক বলেন, যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের শরীরে শনাক্ত হওয়া ভাইরাস করোনার নতুন স্ট্রেইন হওয়ার শঙ্কা আছে, যেহেতু তাঁরা যুক্তরাজ্য থেকে এসেছেন। তারা নতুন স্ট্রেইন বহন করছেন কী-না, তা জানতে বাংলাদেশ সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ সিকোয়েন্সিংয়ের প্রয়োজন।

এদিকে, করোনায় আক্রান্ত যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের মধ্যে ২৫ জনের দ্বিতীয় করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও তাদের কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়ে বুধবার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।