সামাজিক ও অসামাজিক কার্যক্রম: কিছু বিতর্ক এবং তার জবাব

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ১০ ২০২১, ১৯:২২

তারিকুল ইসলাম: সেক্স আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। সেক্স ছাড়া মানবজাতির বংশবৃদ্ধি সম্ভব হতো না। সেক্স একইসাথে প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত দৈনন্দিন চাহিদাও বটে। সেক্স নিজে কোনো খারাপ কিছু নয়।

কিন্তু সেক্স যদি বিয়েবহির্ভূত হয়, তখন সেই সেক্স সমাজচ্যুত হয়ে পড়ে। সেক্স যতই গোপনে হোক না কেন, এর সামাজিক স্বীকৃতি বা পরিচয় জরুরি। কারণ সমাজ হলো পরিচয় ও স্বীকৃতির জায়গা। নয়তো সমাজের গুরুত্ব তৈরি হতো না এবং পরিচয়হীন জারজ সন্তানে সমাজ ভরপুর হয়ে অনাচার ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়তো এবং সমাজের বিলয় অনিবার্য হয়ে পড়তো।

ফলে অসামাজিক সেক্স মাত্রই সিরিয়াস পাপ। এই পাপের শাস্তি কেন এত সিরিয়াস করলো ইসলাম, তা ভেঙে বুঝার দরকার আছে।

দুইজনের সম্মতির কথা বলে অসামাজিক সেক্সকে নরমালাইজ করার উদ্দেশ্য হলো সমাজ ধ্বংস করা। সেক্স বিষয়ে শুধু দুইজনের সম্মতিই আসল কথা না। সেক্সের সাথে আর্থ-সামাজিক ফ্যাক্টরগুলোও জড়িত। সমাজবিহীন শুধু ব্যক্তিগত আনন্দ উপভোগের জায়গা থেকে সেক্সকে দেখলে হবে না।

বিয়েবহির্ভূত সেক্স কেন অমানবিক তার সবচে বড় প্রমাণ– প্রায়ই ডাস্টবিনে পরিত্যাক্ত নবজাতক খুঁজে পাওয়ার ঘটনাগুলো। এবরশনের হার ক্রমশ বাড়ছে। এবরশন নারীর শরীরের জন্য কতটা হুমকিস্বরূপ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভ্রূণহত্যাকে অমানবিক ও মানবতাবিরোধী না বলে উপায় আছে কি!?

এছাড়া একটা মেয়ে অবৈধ সঙ্গমে গর্ভবতী হলে এই বাচ্চার দায়-দায়িত্ব কে নেবে? এটি আর্থসামাজিক প্রশ্ন। তাই বিয়েবহির্ভূত সেক্স শুধু ব্যক্তিগত পাপ মাত্র নয়, একইসাথে সামাজিক অভিশাপও। ফলে সামাজিকভাবে সবার দায়িত্ব– অসামাজিক সেক্স উপভোগের পথ কঠোরভাবে রুদ্ধ করা।

সেক্সের সামাজিক রূপ হলো বিয়ে। কিন্তু একটি সমাজে বিয়েকে যখন কঠিন করে ফেলা হবে, তখন সে সমাজে সেক্স অসামাজিক হয়ে ওঠে। আর অসামাজিক সেক্স মাত্রই সমাজের জন্য সিরিয়াস ক্ষতিকর। অসামাজিক সেক্সই হলো যিনা-ব্যভিচার।

লেখক: রাষ্ট্র চিন্তক