শেয়ালের কাছে মুরগী: ১৩০০ কোটি টাকা পাচার করল ই-কমার্স পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টার

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ০৬ ২০২১, ১৭:৪০

দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, আদিয়ান মার্ট, কিউ কম ও দালাল প্লাসকে পেমেন্ট গেটওয়ে (এসক্রো) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ফস্টার পেমেন্টসের’ বিরুদ্ধে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ বিষয়ে তদন্ত করে ফস্টারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।

এ বিষয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস)।

আজ (৬ অক্টোবর) দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে এ সংক্রান্তে একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিআইডির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওই গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, তারা ফস্টারের কর্মকর্তাদের খুঁজে পাচ্ছেন না। প্রতিষ্ঠানটির কোন কর্মকর্তা দেশে নেই বলে জানিয়েছেন তারা।

বিএফআইইউ এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ফস্টার ঠিক কি পরিমাণ টাকা পাচার করেছে, তা বিস্তারিত তদন্তের আগে বলা কঠিন। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ধরণের প্রতিষ্ঠান টাকা পাচারের জন্য হুন্ডিসহ নানা অবৈধ পন্থার আশ্রয় নিয়ে থাকে। তবে অর্থপাচারের পুরো বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মেজবাউল হক বলেন, ফস্টার বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্ত নয়। পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালা জারি করার আগে থেকেই কোম্পানিটি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ইভ্যালিসহ বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম মূল্য নেয়ার পরও পণ্য ডেলিভারি না দেয়ার অভিযোগে গত ৪ জুলাই এসক্রো সার্ভিস চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ পদ্ধতিতে ক্রেতারা কোন ই-কমার্স কোম্পানিতে পণ্য অর্ডার করে মূল্য পরিশোধের পর তা পেমেন্ট গেটওয়ে সেবাদানকারী ফস্টারসহ বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা হয়। ই-কমার্স কোম্পানি ওই পণ্য ক্রেতাকে ডেলিভারি দেয়ার পর তার ডকুমেন্ট দাখিল করার পর পেমেন্ট গেটওয়ে ক্রেতার পরিশোধ করা মূল্য ই-কমার্স কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে।

এসক্রো সার্ভিস চালু হওয়ার পর থেকেই ফস্টারসহ বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হতে থাকে। বিভিন্ন গেটওয়ে থেকে সময়মত অর্থ না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর। পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর এমন আচরণ সম্পর্কে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করেছে বলে ওই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান।