শীতকালীন সবজির আকাশ চুম্বী দাম!

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ২৪ ২০২০, ২৩:১৮

কায়সার হামিদ মানিক,স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার।

কক্সবাজারের রামুতে শীতের আবহমান বার্তাকে সাথে করে বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজি। তবে রামুতে শীতের আগাম সবজি বাজারে এলেও দাম কমেনি এখনো । এতে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা ।

আজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, মৌসুম শুরু না হতেই আগাম সবজি চাষের খরচটাও বাড়তি তাই কৃষকরাও পাইকারদের কাছে আগাম সবজি বিক্রি করছে একটু চড়া দরে । রামুর বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং উপজেলার বাইরে থেকে রামুর বিভিন্ন বাজারে শীতের সবজি ইতোমধ্যে আসতে শুরু করেছে।
তবে দ্রব্যমূল্য সাধারন মানুষদের জন্য অনেকটাই নাগালের বাহিরে। চাহিদা মতো নিতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা।

তাছাড়া মসলাজাতীয় সবজির মধ্যেও বেশ দাম বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। দেশী পিয়াজ ১০০ টাকা,ইন্ডিয়ান পিয়াছ ১১০ টাকা,তুরস্কী পিঁয়াজ ৭০ টাকা,রসুন ৯০ টাকা, আদা ১২০টাকা।

রামুর ১১ ইউনিয়নের সকল বাজার পরিদর্শনে দেখা মেলে সবজির দামের আকাশ চুম্বী। বাজারের কিছু সবজির দাম পাঠকের মন শান্তনা দেওয়ার জন্য তুলে ধরা হলো। বাঁধাকপি ৬০টাকা, ফুলকপি ১২০টাকা,দেশি বেগুন ৮৫ টাকা,হাইব্রিড বেগুন ৬০টাকা, সিম ১২৫টাকা, ঝিঙা ৬০টাকা, চিচিঙ্গা ৫০টাকা, বরপাতা ১১০টাকা, টমেটো ১২০টাকা,
কাঁচা মরিচ ১২০টাকা, ঢেডস ৬০ টাকা, ফল ৬০টাকা, বরবটি ৭০টাকা, মূলা ৬০ থেকে ৭০টাকা,,কচুরছরা ৫৫টাকা,ছোট আলু ৫০টাকা,ললীতা আলু ৫০ টাকা।

সবজির তালে তালে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন জাতেঁর শাকের দাম । শাকের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা মেলে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, পালং শাক ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, ডাটা শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা ও মূলা শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা।

বাজারে সব ধরনের সবজি থাকলেও পরিমাণে কিছুটা কম থাকায় দাম কমছে না বলে জানান অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, উপজেলার অনেক স্থানে সম্প্রতি অতিবৃষ্টি,বন্যা, নিম্নচাপের কারণে সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে সবজির আমদানি কম। তবে তারা বিশেষতভাবে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কে দায়ী করছেন মুল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে।

বাজারে আসা ক্রেতারা বলেন ,সব ধরনের শীতকালীন সবজি এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু অনেক দামটা বেশি।যার ফলে দিনমজুর ও সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের উপর প্রভাব পড়ছে বলে জানান। বাজার মনিটরিং কতৃপক্ষের নজরদারী থাকলে কমে আসবে সবজির দাম কমবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

বিভিন্ন বাজার কমিটি ও মনিটরিং কতৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা জানালেন, দ্রব্যমুল্যের চড়া দামের বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে,আমরা বাজার মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করব।