শাবিতে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ ৫ শিক্ষার্থী আটক

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

নভেম্বর ১৩ ২০১৯, ১৫:১৬

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হতে আসা পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে জালিয়াতিতে সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম কৌশিকেও আটক করা হয়েছে।

আটকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন -বগুড়া জেলার বৃন্দাবন পাড়ার আরিফ খান রাফি, এই জেলার শাহজানপুর উপজেলার মাঝিরা গ্রামের শাকিদুল ইসলাম, রহিমাবাদ গ্রামের আবিদ মুর্শেদ, বটতলার জাহিদ হাসান এবং রংপুর জেলার পাকমোড়ের রিয়াদুল জান্নাত।

প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ জানান, মঙ্গলবার ‘বি-১’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হতে আসলে তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। তাদের ৫ জনের মধ্যে ৩জন জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ।

এসময় প্রক্টর বলেন, “এরা সকলেই বগুড়া কেন্দ্রীক একটি চক্রের সাথে ৫/৭ লক্ষ টাকায় চুক্তি করে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীও রয়েছে। আমরা ধারণা করছি সেও জালিয়াতির মাধ্যমেই ভর্তি হয়েছিল।”

“তারা প্রশ্নপত্রের সেট কোডে ওভার রাইটিং করে সকলেই ৭৫ নম্বর সেট কোডের প্রশ্নপত্র মোতাবেক বৃত্ত ভরাট করেছিল। সেট কোডের ওভার রাইটিং এবং অভিন্ন সেট কোডে উত্তর এবং প্রাপ্ত নম্বর কাছাকাছি দেখে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমরা তাদের সনাক্ত করে রেখেছিলাম।”

২৬ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষায় চারটি পৃথক কেন্দ্র থেকে জালিয়াতির দায়ে বগুড়া থেকে পরীক্ষা দিতে আসা আহসান আলী, ইব্রাহিম খলিল জীবন, মাহমুদুল হাসান, সাদ মো. শাহেল এবং ময়মনসিংহের মোহাইমিনুল ইসলাম খানকে ডিজিটাইল ক্যালকুলেটরেসহ আটক করা হয়েছিল। তারাও ৭৫ নম্বর সেট কোডের প্রশ্নপত্রের উত্তর করেছিল।

প্রক্টর বলেন, “আটক হওয়া শিক্ষার্থীরা একই এলকার হওয়ায় এবং একই সেট কোডের প্রশ্নপত্রের বৃত্ত ভরাট করায় মনে হচ্ছে এরা একই চক্রের সদস্য। তদন্তের মাধ্যমে সব বেরিয়ে আসবে।”

এর আগে ২০১৭-১৮ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলার দুই শিক্ষার্থীকে এবং ২০১৮-১৯ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় বগুড়ার দুই শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল ডিভাইসসহ আটক হয়।

রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন বলেন, “ভর্তি হতে আসা ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আমরা তাদের বিরদ্ধে মামলা করেছি। আইন অনুযায়ী পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নিবে।”