রিমান্ডে মুফতী যুবায়ের; পরিবারকে জানায় নি পুলিশ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ২০ ২০২১, ২৩:২৮

সৈয়দপুর থেকে একটি ফ্লাইটে গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় পৌঁছান প্রখ্যাত দায়ী মুফতি যুবায়ের আহমাদ। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে। এরপর থেকে মুফতী যুবায়ের আহমাদের ফোন বন্ধ, তাঁর খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। তবে পুলিশ বলছে, জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে যুবায়ের আহমাদের স্ত্রী রোকসানা আক্তার সংবাদ সম্মেলন করেন। তাঁর দাবি, তুরাগ থানা, বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। এরপর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলেও যুবায়েরের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

রোকসানার দাবি, মুফতি যুবায়ের মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। তিনি ধর্মত্যাগী মুসলমানদের আবার ইসলামে ফেরানোর কাজ করছিলেন। তা ছাড়া তিনি ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসার (আইওএম) সঙ্গে কাজ করতেন।

রোকসানা বলেন, ‘চার দিন ধরে কোনো খোঁজ নাই। সন্তানেরা জিজ্ঞাসা করছে, তাদের বাবা কোথায়। আমি বলছি, সফরে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেন।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে গত শনিবার মুফতি যুবায়েরসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল রোববার তাঁদের আদালতে তোলা হয়।

সিটিটিসির উপকমিশনার আবদুল মান্নান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের পুরোনো মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর যুবায়েরের পরিবারকে জানানো হয়েছে কি না, এ বিষয়ে আবদুল মান্নান বলেন, গতকাল তাঁকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে এবং তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পরিবার জানার কথা। কোনো না কোনো মাধ্যমে তাদের কাছে এ তথ্য পৌঁছানোর কথা।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে, কার্যবিধির ১৬৭ ধারার অধীন রিমান্ডের ক্ষেত্রে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ১৫টি নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়। এর মধ্যে ৬ নম্বর নির্দেশনা হলো, বাসস্থান বা কর্মস্থল ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলে, তাকে থানায় আনার এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তার আত্মীয়স্বজনকে টেলিফোনে বা বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের খবরটি জানাবে।