বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন আদালত। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার কারণে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৩ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ২৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুপুরে বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের দেয়া রায়ে ওই আসামিদের মধ্যে ৬ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ৪ জনকে ৫ বছর এবং ১ জনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এর মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছয় শিশু হলো- রাশেদুল হাসান রিশান ফরাজী, রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, আবু আবদুল্লাহ রায়হান, ওয়ালিউল্লাহ ওলি, নাঈম ও তানভীর। তারা বর্তমানে বরগুনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে মামলায় জামিনে থাকা আট শিশু হলো- চন্দন সরকার, নামুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, প্রিন্স মোল্লা, মারুফ মল্লিক, মারুফ বিল্লাহ, রাতুল সিকদার এবং আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।

এর আগে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে জেলা শিশু আদালতে এই হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় পড়া শুরু করেন বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। এরও আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কড়া প্রহরায় জামিনে থাকা আটজন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিসহ সবাইকে আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ।

এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ। পরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় প্রাপ্তবয়স্ক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠায়। পরে ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় রিফাতের।