রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদের ব্যাংক হিসাব ৩০ দিন অবরুদ্ধ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ০৯ ২০২০, ১৮:৩৮

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করে সনদ প্রদানসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩০ দিন অবরুদ্ধ থাকবে এসব ব্যাংক হিসাব।

বুধবার (০৮ জুলাই) বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখা সিলগালা করে দেয়ার খবরের ওপর ভিত্তি করে তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঠানো ব্যাংকগুলোর কাছে ওই চিঠিতে বলা হয়, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য নামে ব্যবহৃত ব্যাংকের সকল অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধকরণের নির্দেশ দেয়া হলো। আগামী ৩০ দিন অবরুদ্ধ থাকবে এসব ব্যাংক হিসাব।

এর আগে সোমবার (০৬ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এরপর মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। আটজনকে আটক করা হয়েছে। সাহেদসহ নয়জন পলাতক।

ওইদিন রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) বাতিলসহ অবিলম্বে হাসপাতালটির সব কার্যক্রম বাতিল এবং সিলগালা করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। রিজেন্ট হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হাসপাতালটি করোনার নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করত। সরকারের সঙ্গে হাসপাতালটির চুক্তি ছিল ভর্তি রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার। সরকার এ ব্যয় বহন করবে। কিন্তু তারা রোগীপ্রতি লাখ টাকার বেশি বিল আদায় করেছে। রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়েছে এই মর্মে সরকারের কাছে এক কোটি ৯৬ লাখ টাকার বেশি বিল জমা দেয়।