রাবিতে শিক্ষক-ছাত্রলীগ ধস্তাধস্তি: শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ০৪ ২০২১, ১৮:১২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিক্ষকদেরকে গুলি করার হুমকি প্রদান করেছেন বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

আজ (৪ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে এই হাতাহাতি হয়। শিক্ষকরা সিন্ডিকেট সভা প্রতিহতের ঘোষনা দিলে দু’পক্ষের উত্তেজনার মধ্যেই সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করা হয়।

গত বেশ কয়েকমাস ধরেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগ দেয়ার জন্য আন্দোলন করে আসছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় ফটক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার মতো ঘটনাও ঘটেছিলো

অন্যদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিভিন্ন দূর্নীতির তথ্য তুলে ধরে শিক্ষকদের একটা অংশ প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে আসতেছিলো। সংবাদ সম্মেলন করে তারা লিখিত আকারে উপাচার্যের বিভিন্ন দূর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাৎ এর তথ্য তুলে ধরেছিলো। উপাচার্য ড. এম আব্দুস সোবহান দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতেছিলেন। আগামী ৬মে (বৃহস্পতিবার) তার দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হবে। উপাচার্যের দায়িত্ব শেষ হবার ২দিন পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটলো।

আজ দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সভা ছিলো। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষকরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, বর্তমান উপাচার্যের দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে ৬মে’র পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রশাসনিক কাজ করতে পারবে না। আজকে সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা আরো বেশি ছড়ায়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিরোধী আন্দোরনরত শিক্ষকরা আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয মূল ফটকের সামনে আসলে সেখানে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদেরকে বাঁধা প্রদান করে। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শিক্ষকদেরকে গুলি করার হুমকি প্রদান করেছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা আরো জানিয়েছেন, উপাচার্যের জামাতা যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক, তিনি গতকাল প্রশাসনিক ভবনের তালা ভেঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথিপত্র সেখান থেকে নিয়ে গেছেন। সেগুলোর মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত কয়েকটি নথি আছে বলেও তারা অভিযোগ করেছেন।

সর্বশেষ শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করতেছিলেন এবং ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করতেছিলো।

জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বলেন, ৬মে’র পূর্বে নিয়োগ নিষিদ্ধ করা অযৌক্তিক। নিয়োগ বন্ধ করা কোনো সঠিক সমাধান নয়।