রাজধানীতে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ১৬ ২০২১, ০১:১৩

রাজধানীতে সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আবার বেড়েছে। তবে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তিনি বলেন, ‘সতর্ক থাকার পরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটে গেছে।’

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।

মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘ঢাকায় প্রতি মাসে ১৫-২০টি খুন হয়। সম্প্রতি কদমতলী ও মুগদায় এমন দুটি খুনের ঘটনায় পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। মুগদার মান্ডায় হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা কিশোর। সালাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ দ্বন্দ্বে জড়ায় এবং হাসান নামের একজন খুন হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়েছিল। তাদের ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজনকে খুঁজছে পুলিশ।’

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মান্ডায় হাসান (১৭) খুন হয়। মান্ডায় কিশোর গ্যাংটির নাম ব্যান্ডেজ। মুগদার একটি ছাপাখানার কর্মী হাসানও ব্যান্ডেজ দলের সদস্য ছিল। ওই দলেরই সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল।

অনেক ঘটনাতেই উচ্চবিত্ত পরিবারের কিশোরদের সম্পৃক্ততা থাকার পরও পুলিশ কেন নিম্নবিত্ত পরিবারের কিশোরদের দায়ী করছে- এমন প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘পুলিশের কাছে থাকা অপরাধের খতিয়ানের ভিত্তিতে তারা মন্তব্য করেছেন। তবে এসব বিষয় পুলিশ খতিয়ে দেখছে।’

অন্যদিকে, কদমতলীতে খুনের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির ওয়ারী বিভাগ। ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে কদমতলী এলাকার পূর্ব জুরাইন কলেজ রোডের নবারুন গলির মাথায় খুন হন জাকির হোসেন (৫২)। কদমতলী থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- মো. শুক্কুর, মো. নুরুল ইসলাম স্বপন, মো. রতন ওরফে সোলাইমান ওরফে রেম্বো, মো. শফিকুর রহমান ওরফে দিপু, ফাহিম হাসান তানভীর ওরফে লাদেন, মো. তরিকুল ইসলাম তারেক ও মো. মাসুদ পারভেজ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির যুগ্ম কমিশনার জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য। ঘটনার দিন এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাকির ও মজিবরের ওপর হামলা চালায় তারা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।