রংপুরের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এজিএম মিথ্যা মামলায় কারাগারে

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৯ ২০২০, ০৪:৩৯

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর: রংপুর নগরীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় গত দুই দিন ধরে কারাগারে রয়েছেন বিটিসিএলের এক জুনিয়র এ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার। তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিটিসিএল রংপুুরে এস,এ,ই পদবীতে চলতি দায়িত্বে কর্মরত আছেন। এনিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীসহ বিটিসিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, পুলিশ কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই একটি সাজানো মামলায় একজন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। যা ন্যাক্কারজনক। আবিলম্বে তাঁর নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানান।

সূত্রে জানা গেছে, নগরীর হাজীরহাট থানার ১১ নং ওয়ার্ডের রাধাকৃষপুর দক্ষিণ বিন্যাটারি গ্রামে মৃত খরকু মোহাম্মদের ছেলের জাহিদুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে বিটিসিএলের উপ-প্রকৌশলী একই গ্রামের মৃত আজহর আলীর ছেলে নুর আলমের সাথে। সম্প্রতি নুর আলম ঘরে দরজার জানালা নির্মাণ করতে গেলে জাহিদুল গংরা বাঁধা দিয়ে চাঁদা দাবি করে। তিনি জানা না দেয়ায় জাহিদুল গংরা বিভিন্ন ফন্দিফিকির করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা গত ৩ নভেম্বর মারপিট, শ্লীলতাহানির মিথ্যা গল্প সাজিয়ে হাজিরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেখানে বিটিসিএল হেড অফিসের উপ-প্রকৌশলী নুর আলম, তার পুত্রসহ ১০ জনকে আসামী করা হয়। পরে গত ৬ ডিসেম্বর পুলিশ বিষয়টির কোন প্রকার তদন্ত না করেই বিটিসিএল হেড অফিসের উপ-প্রকৌশলী নুর আলমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় গ্রামবাসী বিটিসিএলের উপ-প্রকৌশলী নুর আলমকে একজন পরউপকারি ভালো মানুষ ও দানশীল ব্যক্তি হিসাবে সম্বোধন করেন। গ্রামবাসীরা জানান, নুর আলম অত্র এলাকায় একজন পরউপকারী মানুষ। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় কথা বলেন। মানুষের বিপদে-আপনে পাশে দাঁড়ান। বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেন। তার এই সমাজসেবা মুলক কার্যক্রম ও ন্যায়ের কথা বলাই আজ কাল হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি একটি মিথ্যা মামলায় এখন কারাবন্দি হিসাবে জীবন যাপন করছেন।

দক্ষিণ বিন্নাটারি গ্রামের আব্দুস সামাদ, ইউনুস আলী, সাজু মাস্টার, মমিনুল ইসলাম বলেন, গত ৩ নভেম্বর যে ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলায় বিটিসিএলের উপ-প্রকৌশলী নুর আলম জেলে রয়েছেন। সেটি পুর্ব পরিকল্পিত ছিল। এধরণের ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্তা নেই।

একই গ্রামের রায়হান আলী, ইকতিয়ার, নাহিদসহ শতাধিক নারী পুরুষ বলেন, জাহিদুল গংরা গ্রামের দাঙ্গাবাজ পরিবার। তারা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে জেলে পাঠিয়েছে। যা কোনভাবে ঠিক হয়নি। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করছি সরেজমিন তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়ার। কারণ এই মামলার কারণে একজন সরকারি কর্মকর্তাসহ গ্রামের নিরিহ মানুষজন হয়রানীর শিকার হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, জাহিদুল গংদের পরিবারের কয়েকজন উচ্ছৃংখল নারীর বেপরোয়া কর্মকান্ডে গ্রামের মানুষজন চরম অতিষ্ঠ। তারা যখন তখন মানুনের নামে বদনাম দেয়। মিথ্যা গল্প সাজিয়ে মামলা দায়ের করে।

সার্বিক বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খালেক মন্ডল ও হাজীরহাট থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।