যুবসমাজকে বেশি কোরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়নে মনোযোগী হতে হবে: ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ২৫ ২০২১, ০৯:১৮

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, ‘পবিত্র কোরআনুল কারীম’ মানবজাতির হেদায়েত, কল্যাণ, শান্তি ও পরকালীন মুক্তির নির্দেশনা। প্রিয়নবী (সা.) ছিলেন এ পবিত্র গ্রন্থের প্রথম তিলাওয়াতকারী ও মহান শিক্ষক। এ পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত মানুষের আত্মশুদ্ধি ঘটায় এবং তাদেরকে মানুষ হিসেবে উচ্চতর মর্যাদায় আসীন করে।

তাই বিশ্বের তরুণ ও যুবসমাজকে বেশি বেশি পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়নে মনোযোগী হতে হবে।’ বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মিলনায়তনে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিট্যাল ঢাকা-২০২০ উপলক্ষে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত কোরআন তিলাওয়াত, তাফসীর ও হিফজ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সবসময় শীর্ষস্থান লাভ করে দেশকে বিশ্ব দরবারে গৌরবোজ্জ্বল করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আয়োজিত ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিট্যাল ঢাকা-২০২০ পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতাও আমরা অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আমি আশা রাখি।’

তিনি আরো বলেন, ‘পৃথিবীতে বাংলাদেশেই সর্বাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, হাফেজ, আলেম ও দীনের প্রচারক রয়েছেন। দেশের আলেম – হাফেজগণের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বেসরকারি সকল মাদ্রাসাকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নিজস্ব অর্থায়নে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। যেখানে হিফজুল কোরআনের ব্যবস্থাও রয়েছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, ‘দেশের তরুণসমাজ ইসলামধর্ম সম্পর্কে সচেতন। এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে ইসলামের সুমহান শিক্ষা অর্জনে তরুণসমাজ অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হবে। এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আমাদের দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে বরাবরের মতই শীর্ষস্থান অধিকার করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।’

স্বাগত বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনুল কারীমের তিলাওয়াত অধ্যয়ন ও বিধিবিধান অনুশীলনে যুবসমাজকে অনুপ্রালিত করা এবং বিশ্ববাসীর কাছে কোরআনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।’

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম পিএইচডির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ড. মাওলানা মোহাম্মদ কাফিলুদ্দিন সরকার, ইসলামিক অপারেশন ইয়ুথ ফোরামের (আইসিওয়াইএফ) সভাপতি তাহা আয়হান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন প্রমুখ। এসময় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুটি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, ইউরোপ, ওশেনিয়া এবং বাংলাদেশ এই ৬টি অঞ্চলের সমন্বয়ে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবে। ছয়টি দেশ থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ে তিনজন করে নির্বাচিত চূড়ান্ত প্রতিযোগি নিয়ে মোট ১ জন প্রতিযোগী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নেবেন। এদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে তিনজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

আইসিওয়াইএফ সচিবালয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই বাছাই প্রক্রিয়াটি সংহত করার জন্য একটি জুরি বোর্ড গঠন করবে। আঞ্চলিক প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করবে আইসিওয়াইএফ। স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতাটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালনা করবে। এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি আইসিওয়াইএফ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে পরিচালিত হবে।