মুসা আল হাফিজ সিলেট ও বাংলাদেশের নয়, পৃথিবীর সম্পদ : প্রফেসর ড. রিজাউল ইসলাম

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ০১ ২০১৯, ১৯:১১

সিলেট প্রতিনিধি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, রবিন্দ্রনাথ ও নজরুল গবেষক প্রফেসর ড. রিজাউল ইসলাম বলেছেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনো দেশ ছিলো না। আল্লামা ইকবাল, নজরুল, শেখ সাদী, মহাকবি রুমীদের কোনো দেশ ছিলো না। তাঁরা নিজেকে, পরিবারকে, দেশকে ছাপিয়ে হয়ে যান বিশ্ববাসীর।

বিশ্ব মানবতার সুখ, দুঃখকে নিজের সুখ, দুঃখ বানিয়ে বিশ্বের ব্যথা-বেদনার উপশম চিন্তায় তারা কাতরান। মুসা আল হাফিজের চিন্তা, দর্শন, ইতিহাস চর্চা এবং তা্ঁর ত্রিশটি গবেষণাগ্রন্থ আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। বাংলা সাহিত্যের প্রকৃত ইতিহাস, বাংলা সাহিত্য ও বাঙ্গালীর মর্যাদার ইতিহাস খুঁজে পাই মুসা আল হাফিজের শতাব্দীর চিঠিতে। ইতিহাসের বিকৃত পৃষ্ঠাসমুহ তিনি চিহ্নিত করে আমাদেরকে মিথ্যা ও অন্ধকার থেকে টেনে তুলেছেন। মুসা আল হাফিজের সিলেট থেকে ঢাকা গমনকে স্বাগত জানাই। সত্যিকার অর্থে মুসা আল হাফিজ সিলেট ও বাংলাদেশের নয়, বরং পৃথিবীর সম্পদ।

৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় কেমুসাস সাহিত্য আসর মিলনায়তনে প্রতিশ্রুতি সাহিত্য ও বিজ্ঞান চর্চা পর্ষদ, সিলেট আয়োজিত মুসা আল হাফিজের বিদায় সংবর্ধনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ড. রিজাউল উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের প্রিন্সিপাল কবি কালাম আজাদ। আলোচনা রাখেন শক্তিমান কবি ও গবেষক মুকুল চৌধুরী, সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসার সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মুসাব্বির, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুহিত চৌধুরী, মদন মোহন কলেজের সহকারী অধ্যাপক যিন্নুরাইন চৌধুরী, দারুল আজহার মডেল মাদরাসার অধ্যক্ষ মনজুরে মাওলা, কলামিস্ট এনাম আহমদ চৌধুরী, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব তাহের আব্দুল্লাহ, লেখক-কলামিস্ট মাজহারুল ইসলাম জয়নাল, ব্যাংকার আহমদ শামসুদ্দিন, কবি শায়ির খান্দানী, কবি আমিনা রশিদ পান্না, কবি কমরেড সালেহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক কবি বাসিত ইবনে হাবীব। অনুষ্ঠানে মুসা আল হাফিজ রচিত হামদে বারী পরিবেশন করে চেতনা শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্যরা। কবি রচিত পরম সাঁতার থেকে কবিতা আবৃত্তি করে ছড়াকার আহমদ জারির।

অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতির পক্ষ থেকে কবিকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে সিলেটের অনেক কবি সাহিত্যক ও গুণীজন অংশ নেন।