মুক্তির মাস রমাদ্বান

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ০৮ ২০১৯, ১৫:০৪

 

হাবীব আনওয়ার

রহমত -বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের আলোকবার্তিকা নিয়ে আবার আগমন হয়েছে প্রবিত্র রমজান মাস। অগণিত পুরস্কারের মাস রমজান মাস। অসংখ্য নিয়ামতের মাস এই রমজান মাস। জান্নাত লাভ আর জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস এই রমজান। কুরআন নাজিলের মাস হলো রমজান মাস। মোটকথা অনেকদিক দিয়েই রমজান মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। মহান আল্লাহ এই মাসে একটা নফল ইবাদতের বিনিময় ফরজের সমতুল্য দান করেন। আর একটা ফরজকে ৭০ টা ফরজের সমান বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ এই মাসে জান্নাতের দরজাসূমহ খুলে দেন এবং জাহান্নামকে বন্ধ করে দেন। হযরত আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রমযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানগুলোকে শিকলবন্দী করে দেয়া হয়। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৮৯৯)

হযরত আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন রমযান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৮৯৮)

যখন রমজান মাস আসে তখন প্রতিদিন একজন ঘোষণাকারী কল্যানের ঘোষণা করতে থাকেন।
হযরত আবূ হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শয়তান ও দুষ্ট জিন্‌দেরকে রমযান মাসের প্রথম রাতেই শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করা হয় এবং এর একটি দরজাও তখন আর খোলা হয় না, খুলে দেওয়া হয় জান্নাতের দরজাগুলো এবং এর একটি দরজাও তখন আর বন্ধ করা হয় না। (এ মাসে) একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেন, হে কল্যাণ অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর বহু লোককে আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ হতে এ মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে। (-সহীহ্‌ ইবনু মা-জাহ ১৬৪২)

রোজাদারদের জন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাতে প্রবেশের জন্য স্পেশাল দারজা তৈরী করেছেন। যে দরজা দিয়ে রোজাদার ব্যতীত আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। হযরত সাহল ইবনু সা‘দ থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতের আটটি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে ‘রইয়্যান’ নামে একটি দরজা রয়েছে। সিয়াম পালনকারীগণ ছাড়া এ দরজা দিয়ে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
(মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৯৫৭)

রোজাদারদের জন্য রোজা সুপারিশ করবেন। আর আল্লাহ তাআলা রোজার সুপারিশ কবুল করবেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার রা. থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সিয়াম এবং কুরআন বান্দার জন্য শাফা‘আত করবে। সিয়াম বলবে, হে রব! আমি তাকে দিনে খাবার গ্রহণ করতে ও প্রবৃত্তির তাড়না মিটাতে বাধা দিয়েছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার শাফা‘আত কবূল করো। কুরআন বলবে, হে রব! আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার সুপারিশ গ্রহণ করো। অতঃপর উভয়ের সুপারিশই কবূল করা হবে।
(মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৯৬৩)

লেখক: শিক্ষার্থী, মেখল মাদরাসা!