মাদরাসা শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে: আমীরে হেফাজত

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ০৫ ২০২১, ১৯:৩৬

হেফাজতে ইসলাম'র আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী

সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার তালিমুল কোরআন ওয়াল হিকমাহ (রহিমানগর) কওমী মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা ও মাদরাসা ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

আজ ৫ ই জানুয়ারি সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন,মিথ্যা অভিযোগ তুলে মাদরাসা ভাংচুর করে শিক্ষককে মারধর ও পুলিশে সোপর্দ করার ঘটনা চরম উদ্বেগজনক। এসব মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে কওমী মাদরাসাকে কলুষিত করাই রাম-বামদের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য। এ ঘটনা কওমী মাদরাসা ও হক্কানী ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে চলমান গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।অনতিবিলম্বে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সেই মাদরাসার শিক্ষককে স্বসম্মানে মুক্তি দিতে হবে।

আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ঐ মাদরাসার ছাত্র যে সময় উল্লেখ্য করে তার শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল মাদরাসার মোহতামীম, এলাকাবাসী ও ঢাকা থেকে যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দলের অনুসন্ধান এবং মাদরাসায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সেই ছাত্রের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভূয়া প্রমাণিত হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে একজন হাফেজে কুরআনকে বেধরক মারধর করা, মাথা ন্যাড়া করে পুলিশে সোপর্দ করার ঘটনার নিন্দা ও ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার নেই। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হাফেজে কুরআন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন,মিথ্যা অভিযোগ তুলে মাদরাসা ভাংচুরের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সম্মানহানির জন্য ঐ শিক্ষক ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নিকট দোষীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

কওমী মাদরাসা আদর্শ ও সুনাগরিক তৈরীর কারখানা। দ্বীন ইসলাম রক্ষার দূর্গ। কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে কোন প্রকারের ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। কওমী মাদরাসা ও হক্কানী ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে এ দেশের তৌহিদি জনতা কড়া জবাব দিতে বাধ্য হবে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।