মাওলানা শফিকুল হক আমকোনীর ইন্তেকাল 

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ২০ ২০১৯, ২২:১৬

 

সিলেটের প্রবীণ আলেমে দ্বীন মাওলানা শফিকুল হক আমকোনী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃ্ত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। তিনি ৩ ছেলে, ৫ মেয়ে ও দেশেবিদেশে অসংখ্য ছাত্র ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন। আগামিকাল রোববার বিকেল ৩ টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

মাওলানা শফিকুল হক আমকোনী ছিলেন নগরীর সোবহানীঘাট মাদরাসার মুহতামীম ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি। তিনি আজীবন শিক্ষকতা, রাজনীতি ও সমাজসেবার পাশাপাশি সিলেটের ন্যায্য দাবী-দাওয়ার পক্ষে রাজপথে সোচ্চার ছিলেন। খ্যাতিমান এই আলেমে দ্বীনের ইন্তেকালে সিলেটের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। শেষবারের মতো তাকে একনজর দেখতে বাসায় ভীড় করেন সিলেটের আলেমওলামা ও সর্বস্তরের মানুষ।

সোবহানীঘাট মাদরাসার নাযিমে তালিমাত ও মরহুমের জ্যেষ্ঠ ছেলে মাওলানা আহমদ কবির সিলেটের ডাককে জানান, শায়খ আমকোনী গত ডিসেম্বরে বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। সর্বশেষ আজ সন্ধ্যায় তিনি ইন্তেকাল করলেন।

মাওলানা শফিকুল হক আমকোনীর জন্ম ১৯৪১ সালের ৫ মে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমকোনা গ্রামে। ১৯৬৬ সালে তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (টাইটেল) পাস করেন। পরের বছরই আল্লামা নুরউদ্দিন গহরপুরীর অনুরোধে সিলেটের গহরপুর মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৭০ সালে পবিত্র মক্কা শরীফে চলে যান। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে আবারো গহরপুর মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৪ সালে তিনি সিলেটের জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর মাদরাসার মুহতামীম হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮০ সালে আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর থেকে এসে নগরীর সোবহানীঘাটে প্রতিষ্ঠা করেন জামেয়া মাহমুদিয়া সোবহানীঘাট মাদরাসা। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি এ মাদরাসার মুহতামীম ছিলেন।

মাওলানা শফিকুল হক আমকোনী ছিলেন আওলাদে রাসুল সৈয়দ আসআদ মাদানী (রহ.) এর বাইয়াত ও কাপাসিয়ার পীর মাওলানা মিজানুর রহমানের অন্যতম খলীফা। শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানীর পরিবারের সাথে ছিলো তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। মাদানী পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ সফরে এলে তাঁর মেহমান হতেন।