মতামত: কওমি নিউজের অপসাংবাদিকতা প্রসঙ্গে

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ২৩ ২০২০, ১১:২৪

কে.এম রায়হান:

কওমি অঙ্গনে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত সংবাদ বেফাকের মহাপরিচালক অধ্যাপক যোবায়ের আহমদ চৌধুরীর জালিয়াতি। পুরো নিউজটা ভালোভাবে পড়ে আমার কাছে যেটা মনে হলো, যিনি নিউজ করেছেন তার সাংবাদিকতা সম্পর্কে নূ্ন্যতম কোনো জ্ঞান নেই।

তিনি নিউজের হেডলাইনে উল্লেখ করেছেন যে, মহাপরিচালক জালিয়াতি করেছেন। অথচ উনার নিউজে যা ফুটে উঠেছে তা হলো জালিয়াতির পাঁয়তারা করেছেন। চুরি করা আর চুরির চিন্তা করা এক জিনিস না।

আবার তিনি নিউজে উল্লেখ করেছেন ৩০ লাখ টাকার জমি কমিটির কাছে ৩৬ লাখ টাকা উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু এর কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।অর্থাৎ কার কাছে উপস্থাপন করেছেন এমন কোনো ডকুমেন্ট বা বক্তব্য নেই। সুতরাং এটা স্পষ্ট মিথ্যাচার।

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, পরবর্তীতে এই জমি ২৮ লাখ টাকা দরে কেনা হয়েছে। তাহলে এখানে দুর্নীতি যে হয়নি সেটা তিনি নিজেই উল্লেখ করেছেন। এখান থেকে পরিস্কার বুঝা যায় যে, এটা পক্ষপাত এবং একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে হেনস্তা করতেই এটা করা হয়েছে।

সাংবাদিকতার অন্যতম একটি কোড অব ইথিকস হচ্ছে, সাংবাদিক কখনও নিজের কথা লিখবে না। যাদের দ্বারা ঘটনা ঘটেছে বা যারা ঘটিয়েছে তাদের কথা উল্লেখ থাকবে। সাথে সাথে নিউজের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য লাগবে। তা নেই। পাশাপাশি যার বিরুদ্ধে নিউজ করা হবে তার বক্তব্য অবশ্যই নিতে হবে। নিউজে যেসব দুর্নীতির কথা উল্লেখ করবেন অবশ্যই এর পক্ষে ডকুমেন্ট অনুযায়ী তথ্য উল্লেখ থাকতে হবে। নিউজে এর কিছুই নেই। নিউজে রিপোর্টারের নিজের কথা ছাড়া যাদের নিয়ে নিউজ করেছেন বা বোর্ড কর্তৃপক্ষ, জায়গার মালিক কারও কথা নেই।

কওমি নিউজ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের প্রতি আমার আহ্বান, সাংবাদিকতা করার পূর্বে সাংবাদিকতা শিখুন। সাংবাদিকতা মুর্খদের কাজ নয়।