মঙ্গল শোভাযাত্রা! কত আনা বাঙ্গালি সাংস্কৃতি?

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ১৪ ২০১৯, ০৯:৫৯

একুশে জার্নালঃ

মঙ্গল শোভাযাত্রা!? ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশে এটি আয়োজন করা হচ্ছে,এ বছর ৩০ পা রাখলো । বলা হয়ে থাকে এটি একটি বাঙ্গালির প্রানের উৎসব বাঙ্গালি ঐতিহ্য, তাহলে প্রশ্ন দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৭ বছর এর আগের কথা না হয় বাদি দিলাম এই ১৭ বছর কোথায় ছিল আমাদের এই সাংস্কৃতি? ১৭ বছর পর হঠাৎ কেন কোত্থেকে এই সাংস্কৃতি পালন করা অপরিহার্য হয়ে উঠলো সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। মঙ্গল শোভাযাত্রার কারন হিসেবে ধরা হয় এইদিন(পহেলা বৈশাখ) এই যাত্রার মাধ্যমে যত অমঙ্গল আছে দূর হবে এবং মঙ্গল সব এসে হাজির হবে । মুলতঃ এই চিন্তা চেতনা থেকেই এই শোভাযাত্রার আয়োজন
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে অদৌ কি এই শোভাযাত্রা মঙ্গল নিয়ে আসে? যদি তাই হতো তবে দেশে এত অমঙ্গল কেন হয়? কেন এত খুন রাহাজারি,মাদক, ধর্ষন কেন? হয়তো কেন এর অনেক ব্যাখ্যা দেয়া যাবে, তবে সেটা কখনোই এই শোভাযাত্রাকে জায়েজ করে নয়,,
এইতো গেল একটি প্রশ্ন, দ্বিতীয়ত এই যে মঙ্গল শোভাযাত্রায় পেচা,হনুমান,বাঘ সহ নানা ধরনের পশুপাখির আকৃতি বা প্রতিচ্ছবি সাথে নেয়া হয় এর মানে কি? এটা দ্বারা কিসের ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে, কখনো কি আমরা চিন্তা করেছি, আমরা মনে করি এটি এমনিতেই ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র সোন্দোর্য্য বর্ধনের জন্য, না মোটেও না এটি সম্পূর্ন হিন্দুয়ানা সাংস্কৃতি থেকে নেয়া হয়েছে, এর ইতিহাস সবারি কম বেশি জানা, আজ আমার আলোচ্য বিষয়ও সেটি প্রমানের জন্য নয়। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি যে বাঙ্গালি উৎসব ঠিক আছে তবে অবশ্যই তা ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক হয় এমন উৎসব আমাদের মুসলমানদের অন্তত পালন করা যাবে না। পহেলা বৈশাখ অনেক ভাবেই আপনি চাইলে উৎযাপন করতে পারেন, আমি পহেলা বৈশাখ উৎযাপন বিরোধী নই, আপনি ঘোরোয়া ভাবে আয়োজন করুন, এইদিনে ভালমন্দ রান্না করুন আত্বীয়স্বজন দাওয়াত করুন, ব্যবসায়ীরা হালখাতা করুক সমস্যা কোথায়? তবে এটার একটা সীমারেখা থাকবে যে সীমা রেখা আমার ধর্মীয় সারকেলকে অতিক্রম করবেনা। বিশেষ করে যে আয়োজন ভিন্ন কোন ধর্মের থেকে ধার করা হবে না, আজকাল আমরা অনেক সচেতন হয়েছি জীবনের সবকিছুতেই আমরা যাচাই বাছাই করে চলতে পছন্দ করি তবে এই দিকে কেন যাচাই বাছাই করিনা কেন জানতে চাইনা যে আমি সে উৎসব পালন করছি তা অদৌ আমাদের সাংস্কৃতি কিনা? নাকি নিজের অজান্তেই ভিন্ন কোন ধর্মের রীতিনীতি পালন করে ইমান হারা হচ্ছি। একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই সময় এসেছে এখন তা গভীরভাবে ভাবার।

লেখকঃ মোঃমাহবুব হুসাইন

সাংবাদিক ও সাহিত্যিক