ভোটারদের আস্থা ফেরানোই বড় চ্যালেঞ্জ: নতুন সিইসি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ২৭ ২০২২, ১৩:০১

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের প্রতি একদল মানুষের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ এইসব ভোটারদের নির্বাচনের প্রতি আস্থা ফেরানো।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেসরকারি এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় আমরা সেই ব্যবস্থা করব। এছাড়া ভোটে যে সংহিতার ঘটনা ঘটছে সেটিও আমাদের মাথায় আছে। ভোটকেন্দ্র যেন কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে সে বিষয়ের প্রতিও আমাদের মনোযোগ আছে।

তিনি বলেন, এ বয়সে আমার ওপর এক কঠিন দায়িত্ব আরোপিত হলো। এই দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাই। এ সময় তিনি, সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা কামনা করেন।

সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে আগামী নির্বাচন উৎসব মুখর করা যায় এবং সব দলকে কীভাবে নির্বাচনে নিয়ে আসা যায় সে ব্যাপারেও এই নির্বাচন কমিশনার কাজ করবেন বলে জানান।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক কাজী হাবিবুল আউয়াল সবশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আউয়াল ১৯৫৬ সালের ২১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে এর প্রধান করা হয়।

যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাছাই করতে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন।

এর আগে সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সবার কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল নাম পাঠায়। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম পাঠান। তবে বিএনপি এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি।

সার্চ কমিটির কাছে মোট ৩২২ জনের নাম জমা পড়ে। এরপর তারা কয়েকটি বৈঠক করে ওই ৩২২ জন থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ১০ জনের এ তালিকা জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।