ভূমিকম্প কিয়ামতের নিদর্শন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ২৯ ২০২১, ১২:৪৯

হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামত কায়েম হবে না, যে পর্যন্ত না ইল্‌ম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভুমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং হারজ (খুনখারাবি) বৃদ্ধি পাবে। (সাহীহ বুখারী)

পবিত্র কুরআনের একাধিক আয়াতে বলা হয়েছে, জলে স্থলে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয় তা মানুষেরই কৃতকর্মের ফল।

কুরআন নাজিল হওয়ার পূর্বেকার অবাধ্য জাতি সমূহকে আল্লাহপাক গজব দিয়ে ধ্বংস করেছেন। সে সবের অধিকাংশ গজবই ছিল ভুমিকম্প।

ভুমিকম্প এমনই একটা দুর্যোগ যা নিবারন করার মতো কোন প্রযুক্তি মানুষ আবিষ্কার করতে পারে নাই। এর পূর্বাভাষ পাওয়ার মতো কোন প্রযুক্তিও মানুষ আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেনাই।

অনেক হাদিসে বলা হয়েছে যে, মানুষের দুষ্কর্মের জন্যই ভুমিকম্পের মতো মহা দুর্যোগ ডেকে আনে।

পুর্বেকার অভিশপ্ত জাতি আদ, সামুদ, কওমে লুত এবং আইকার অধিবাসীদের ভুমিকম্পের দ্বারা ধ্বংস আল্লাহ ধ্বংস করেছেন।

ভুমিকম্প হলে করনীয়

যখন কোথাও ভূমিকম্প সংগঠিত হয় অথবা সূর্যগ্রহণ হয়, ঝড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন মানুষদের উচিত মহান আল্লাহর নিকট অতি দ্রুত তওবা করা, তাঁর নিকট নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা, মহান আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ করা, ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা।

রাসূল (সা.) সূর্য গ্রহণ দেখলে বলতেন, যদি তুমি এরকম কিছু দেখে থাক, তখন দ্রুততার সাথে মহান আল্লাহকে স্মরণ কর, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। (বুখারি)

যখন কোন ভূমিকম্প সংগঠিত হতো, উমর ইবনে আব্দুল আযিয (রহ) তার গভর্ণরদের দান করার কথা লিখে চিঠি পাঠাতেন বলে বর্ননা পাওয়া যায়। হে আল্লাহ! তোমার গজব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করোনা।

লেখক: মুহাদ্দিস ও কলামিস্ট।