ভারতে মুসলিম হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে -খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ২১ ২০১৯, ০১:১৯

একুশে জার্নাল ডেস্ক: ভারতের নরেন্দ মোদীর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকেই সংখ্যালঘু মুসলিম নিয়মিত হত্যা ও নির্যাতন শুরু হয়। বর্তমান সময়ে এই হত্যাযজ্ঞ প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। এর প্রতিবাদে এবং মুসলিম নির্যাতনের বন্ধের দাবিতে খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত শুক্রবার ১৯ জুলাই ২০১৯, বিকেলে ইস্ট লন্ডনস্থ আলহুদা সেন্টারে খেলাফত মজলিস ইউকের আয়োজনে ‘ভারতে মুসলিম হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শাখার সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রাহমানের পরিচালনায় ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মিজানুল হকের সঞ্ছালনায় এতে কোরআন তেলাওয়াত করেন শাখার অফিস সম্পাদক সৈয়দ মারুফ আহমদ।

প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ বলেন, ‘বাংলাদেশের মুসলমানদের মতো ভারতের মুসলমানরা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অবিলম্বে ভারতে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করতে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ভারত সরকারের সাথে বৈঠক করে তাহা বন্ধের আহবান জানান।

উক্ত প্রতিবাদ সভায় ভারতে মুসলিম হত্যা ও নির্যাতন
বন্ধের দাবির সাথে সাথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি প্রিয়া সাহা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে যে মিথ্যা নালিশ করেছেন তাহা এক রাষ্ট্রদ্রোহীর শামিল বলে বাংলাদেশের সরকারের নিকট তার বিচারের আহবান জানান।

উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম এবিসিফোর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বুধবার অভাল অফিসে বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ জন ব্যক্তির সাথে কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সম্মেলনে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের একজন জেনারেল সেক্রেটারি পরিচয়ে গিয়েছেন প্রিয়া সাহা।
মার্কিন গণতন্ত্র, রাজনৈতিক ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ফ্রিডম হাউস ২৭ প্রতিনিধির তালিকা তুলে ধরেছেন। তালিকার ১৮ নম্বরে প্রিয়া বিশ্বাস সাহার নাম রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকার ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশ করেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তিনি দাবি করেন, ৩৭ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি ৭০ লক্ষ হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান গুম হয়ে গেছে। সংখ্যালঘুদের জায়গা দখল করা হচ্ছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। একইসাথে তিনি ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করায় তখন ট্রাম্প তার সাথে করমর্দন করেন।

প্রতিবাদ সভায় আর বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য শাখার সহ সভাপতি হাফিজ আব্দুল কাদির, বিশিষ্ট চিন্তাবিদ জনাব আলী হুসাইন, ইউকে শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল করীম, সহ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল করিম উবায়েদ, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা (খতিব) কামরুল হাসান খান, লন্ডন মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনিসুর রাহমান, হেকনী শাখার সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম, ক্যামব্রিজ শাখার দায়িত্বশীল মুহাম্মদ হাসান মিয়া ও বো শাখার সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইসবাহ উদ্দীন কামরুল প্রমুখ।

এতে সমাপনী বক্তব্য ও মুনাজাতের মাধ্যমে সভা সমাপ্ত করেন ইউকের সহ সভাপতি মুহাম্মদ শওকত আলী।