ভাড়াটে চালক দিয়ে পথচারীকে আহত করে রিজেন্টে ভর্তি করাতেন সাহেদ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ১৩ ২০২০, ১৫:১৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: শুধু দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা প্রতারণাই নয়। ভাড়া করা চালক দিয়ে রাস্তায় সাধারণ মানুষকে আহত করে রিজেন্ট হাসপাতালে জোর করে ভর্তি করানো হতো। আর আহত রোগী আনলে প্রত্যেক চালককে দেয়া হতো কমিশন।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, হাসপাতালে আসলেই আইসিইউতে নিয়ে বড় অঙ্কের বিল ধরিয়ে দেয়া ছিলো সাহেদের বড় প্রতারণা। উত্তরার রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয় ও হাসপাতাল থেকেই নিজের সকল অপকর্ম চালাতেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ।

বাইরে থেকে দেখে বোঝা না গেলেও ভবনটিতে ছিল তার নিজস্ব টর্চার সেল। ভবনের বিভিন্ন স্থানে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়েই সমস্ত অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। এতদিন ভয়ে কেউ কথা না বললেও অভিযানের পর থেকেই সাহেদের অপকর্মের নানা তথ্য দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বলছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলো কিছু পেশাদার চালক। যাদের প্রধান কাজ রাস্তায় সাধারণ মানুষকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে আহত করা।

পরে, তাকে জোর করে রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হতো। এমনকি সামান্য আহত ব্যক্তিকেও জোর করে আইসিইউতে ভর্তি করিয়ে লক্ষাধিক টাকা বিল করা হতো। টাকা দিতে না পারলে রোগীকে মেরে ফেলার অভিযোগও আছে। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বেশকিছু গোপন নথি। যেখানে আগে থেকেই ঠিক করা থাকতো মানুষভেদে করোনার পজিটিভ নেগেটিভ রিপোর্ট।

ভবন থেকেই উদ্ধার করা হয় সাহেদের পাসপোর্ট ও নষ্ট করে ফেলা কম্পিউটারের হার্ডডিক্স। এছাড়া, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকে ভিন্ন ভিন্ন সাইনও থাকতো তার। উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, ‘সাহেদের বিরুদ্ধে আমরা আরো কিছু অভিযোগ পেয়েছি। এসব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এছাড়াও, উত্তরাকেন্দ্রিক বিউটি পার্লার ও ম্যাসাজ সেন্টারের আড়ালে চলা অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাহেদের সখ্যতা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।