বড়লেখায় ইউপি সদস্যের লাশ উদ্ধার 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ১২ ২০২১, ১৬:১৩

এম. এম আতিকুর রহমান: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শামীম আহমদের (৫০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বেলা দুইটার দিকে উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের কবিরা গ্রামের বন্ধন ব্রিক ফিল্ডের পাশের একটি পুকুর পাড় থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত শামীম উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জছির আলীর ছেলে।

এলাকাবাসী, পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য শামীম আহমদ বাজারের যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সোমবার রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে ঘরে না পেয়ে তার মুঠোফোনে কল করেন এবং বিভিন্নস্থানে তাকে খুঁজতে থাকেন। সকালে নয়টার দিকে স্থানীয় লোকজন কবিরা গ্রামের বন্ধন ব্রিক ফিল্ডের পাশের একটি পুকুর পাড়ে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি তার স্বজন ও পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। শামীম আহমদ দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তিনি মারা গেছেন।

নিজবাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ময়নুল হক জানান, একটি পুকুড় পাড়ে ইউপি সদস্য শামীম আহমদের লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। তিনি বলেন, ইউপি সদস্য শামীমের পরিবারের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, তিনি সন্ধ্যায় বাজারের যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। প্রতিদিন রাতে দেরিতে তিনি বাড়িতে ফেরেন। পরিবারের সদস্যা তার জন্য খাবার রেখে ঘুমিয়ে যান। তিনি বাইরে থেকে এসে খাবার খেয়ে ঘুমান। সোমবার রাতে শামীম আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে পরিবারের লোকজন তাকে ঘরে না পেয়ে ফোন করেন। তিনি কল রিসিভ না করার তারা তাকে বিভিন্নস্থানে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে কবিরা গ্রামের একটি পুকুড় পাড়ে স্থানীয় লোকজন তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের জানান। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি হয়তো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক রতন দেবনাথ আজ ১২ জানুয়ারি দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি সদস্য শামীম আহমদের লাশ একটি পুকুড় পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে শোনেছি তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। হয়তো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধি তাই লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।