বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরীমকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবর্ধনা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ২৭ ২০২২, ১৪:০৭

সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অনুষ্ঠিত ৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশী প্রতিযোগী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীমকে সংবর্ধনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরীমকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। পাশাপাশি তার বাবা-মা ও শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনুল কারীম মানবজাতির হেদায়েতের নির্দেশনা। ইসলামের প্রসারে বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৫৬৩টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের অনুষ্ঠান থেকে আমি বিভিন্ন সময়ে বিশ্বজয়ী হাফেজ ও কারীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা প্রতিযোগিতার জন্য বিভিন্ন দেশে ১১৮ জন হাফেজক পাঠিয়েছি। এর মধ্যে ৯৬ জন হাফেজ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তাকরীমের বাবা হাফেজ আবদুর রহমান বলেন, তাকরীম আমার মেঝো ছেলে। সে বিশ্ব দরবারে বাংলার পতাকাকে উড্ডীন করেছেন। ওস্তাদদের পরিশ্রম ও ১৭ কোটি মানুষের দোয়ায় আমার ছেলে এই সফলতা অর্জন করেছে। আমি আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই।

হাফেজ তাকরীমের শিক্ষক ও তার মাদরাসার মুহতামীম মুরতাজা হাসান ফয়েজী বলেন, এই সংবর্ধনার জন্য আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাকরীমের প্রথম শিক্ষক তার বাবা। তিনি সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছেন এই সফলতায়। তিনি সঠিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক নির্বাচন করতে পেরেছিলেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মহা-পরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব আবদুল আউয়াল হাওলাদার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমীন, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমানসহ অনেকে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অনুষ্ঠিত ‘৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম। সেখানে তাকরিমের হাতে ১ লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার, সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।