বিবিসির মিস্টার কাদির কল্লোল সমীপে

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

সেপ্টেম্বর ১৭ ২০২০, ১৭:২১

মাহবুবুর রহমান

বিবিসির প্রখ্যাত সাংবাদিক কাদির কল্লোল। যখন থেকে বিবিসি চিনি জানি ও শুনি তখন থেকেই “কাদির কল্লোল” নামটা শুনে আসছি। সংবাদ মাধ্যমে যার বিচরণের ব্যাপ্তি সীমাহীন। দেশ ও জাতিকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করেছেন দারুন শৈল্পিকতার সঙ্গে।যা অকপটে স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু যখনই কোন সংবাদকর্মী সংবাদ পরিবেশনের মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘন করে একপেশে কিংবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ সংগ্রহের মনোভাব পোষণ করেন বা জাতীয় স্বার্থকে কুরবান করে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইঙ্গিতপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি লালন করতঃ সংবাদ পরিবেশন করেন বিপত্তিটা তখনই বাঁধে। মিঃ কাদির কল্লোল কওমি অঙ্গনের না হলেও সংবাদ জগতের পুরোধা। তিনি এমন অসঙ্গত শিরোনাম দিয়ে এবং মূল থিম পাল্টে দিয়ে সংবাদ পরিবেশন না করলেও পারতেন। তাই আমি নগণ্য সংবাদ কর্মী হিসেবে গুরুতূল্য এমন ব্যক্তির এহেন কর্মকান্ডে মর্মাহত। তাই আশা করি মিঃ কাদির কল্লোল এ ধরনের মনোভাব পরিহার করবেন,সেইসাথে আপনার কাছে সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংশোধনের সবিনয় জোর অনুরোধ করছি।

নিম্নে বিবিসি নিউজ বাংলায় প্রকাশিত কাদির কল্লোলের রিপোর্টের আপত্তিগুলো জবাব সহ পেশ করছি:

১ম আপত্তি: বিবিসির শিরোনাম, ” হাটহাজারী মাদ্রাসা: চট্টগ্রামের মাদ্রাসাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আহমদ শফী ও বাবুনগরীর দ্বন্দ্বের জেরে উত্তেজনা” তা প্রকাশ্য মিথ্যাচার। কখনোই জুনায়েদ বাবুনগরী আহমদ শফী সাহেবের সাথে মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যাবে না বরং বাবুনগরীকে দায়িত্ব থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপসারণ করা হয়েছে যা ইতিপূর্বে মিডিয়ায় স্পষ্ট হয়েছে। তদুপরি বাবুনগরী অপসারণের ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে নিরীহ ভাবেই মেনে নিয়েছেন।

২য় আপত্তি: তার রিপোর্টে মঈনুদ্দীন রুহিকে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণই ধারণাপ্রসূত।তার সাথে মাদ্রাসার কোন রিলেশন নেই, তিনি কখনোই হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন না।

৩য় আপত্তি: তার রিপোর্টে আহমদ শফী সমর্থক দুজন শিক্ষকের উপর হামলা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ১৬/০৯/২০২০ ইং রোজ বুধবার আন্দোলনের ঘটনায় হাটহাজারীর কোন শিক্ষকের উপর আন্দোলনরত ছাত্র কর্তৃক হামলার ঘটনা ঘটেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।

৪র্থ আপত্তি: বরাবরই সাধারণ ছাত্রদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনরতদের বাবুনগরী সমর্থক বলে চালানো হয়েছে।যা তাদের আন্দোলনকে ভিন্ন পথে চালানোর ইঙ্গিত বহন করে।

আন্দোলনরত ছাত্ররা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে, আন্দোলনের সাথে বাবুনগরীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই অথবা বাবুনগরীকে দায়িত্ব থেকে অবৈধ অপসারণের ইস্যুতেও আন্দোলন করা হচ্ছে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

সেইসাথে থানা পুলিশের বিবৃতি যদি এমনই হয় যেমনটা তার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে সেটাও একই মালার পুতি। বরং রাতের মিটিংয়ে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা কেউই বাবুনগরী সমর্থক নয় যা মাদ্রাসার রেজুলেশনেই পাওয়া যাবে। এবং লাইভ প্রোগ্রামেও দেখা গেছে।

যদিও দায়সারাভাবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উল্লেখ করে বাবুনগরী সমর্থক শিক্ষকের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে, এটাও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করি।

ইতি
আপনার হিতাকাঙ্খী
শিষ্যতূল্য নগণ্য সংবাদকর্মী
মাহবুবুর রহমান