বাহুবলে সি.এন.জি শ্রমিকের অর্থায়নে সড়ক মেরামত

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ২৯ ২০১৮, ০৯:৩৫

শাহ মোঃ দুলাল আহমেদ: সি.এন.জি শ্রমিকদের নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করা হয়েছে বাহুবলের সবচেয়ে বেশী জনবহুল এল. জি.ই.ডি,র সড়ক।
আজ (২৯) জুন শুক্রবার আঞ্চলিক রাস্তাটি ইট ও বালি দিয়ে মেরামত করা হয়।
গত ১ বছর যাবত বাহুবল-সোয়াইয়া আঞ্চলিক সড়কটিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকে।
রাস্তায় নেই পানি নিস্কাসনের সঠিক ব্যবস্তা।
ফলে সড়কে গর্ত হয়ে যায় সহজেই।
ফলে গাড়ি অথবা পায়ে হাটার অনুপযোগী হয়ে পরে কয়েকহাজার গ্রাম বাসীর সড়ক।
উল্ল্যেখ, বাহুবল থেকে চলে গেছে জনবহুল সরু রাস্তাটি।
দীর্ঘদিন ভাঙ্গা রাস্তায় চলতে থাকেন গ্রামের সহজ সরল মনা মানুষ গুলি।
এভাবে চলতে চলতে (১) বছর অতিবাহিত হয়ে যায়।
জনসাধারন ও স্তানীয় সি এন জি শ্রমিকেরা তাদের নেতৃস্থানীয় অবিভাবক দের অপেক্ষায় বসে থাকেন।
স্তানীয় বাসিন্দা এক মুরব্বী জানান,,,
আমরা অপেক্ষায় ছিলাম যে কোন প্রতিনিধি আমাদের সোয়াইয়া রাস্তা সংস্কার করে দেবেন।
আরোও বলেন দুঃক্ষের বিষয় কোন নেতা রাস্তা বড়ে দেয়নি,
আজ শ্রমিক রা সড়ক মেরামত দিছে।
জনপ্রতিনিধিরা প্রতিনিয়ত বাহুবলের পশ্চিমে অবস্তিত গ্রাম গুলা পরিদর্শনে যান রাস্তায় সৃষ্ট হওয়া গর্ত দিয়ে।
তার পরেও নজরে আসেনি স্তানীয় মেম্বর, চেয়ারম্যান, এম,পি, র।
দীর্ঘ দিন চলার অনুপযোগী হওয়ার পরে ও সংস্কারের জন্য আশ্বাস আসেনি।
কারোও উপর ভরসা না করে নিজস্ব অর্থায়নে বাহুবল- সোয়াইয়া রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়, হবিগঞ্জ জেলা অটো টেম্পু অটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন চ-রেজিঃ১৯৭৯ বাহুবল সদর শাখার শ্রমিক সকল।
আপাতত ইট দিয়ে মেরামত করা হয় রাস্তা।

বাহুবল সদর শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দাল মিয়া জানান,

আমরা নেতৃবৃন্দ অনেক দিন অপেক্ষা করেছি রাস্তা সংস্কারের জন্য।

কিন্তু কোন অবিভাবক এর চোখে পরে নি।

তাই আমরা শ্রমিকের অর্থে আমাদের একমাত্র সড়ক টি মেরামত করলাম।
শ্রমিক গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা আমদের টাকাই রাস্তা ইট ও বালি পালাইয়া ঠিক করেছি।
এখন আপাতত কয়েকদিন যাতায়াতের উপযোগী হয়েছে সড়ক।
শ্রমিক এওর মিয়া জানান, আমাদের লাইন ম্যানেজার মোঃ আব্দাল মিয়ার প্রচেষ্টায় কাজ টি আমরা করেছি।