বাহুবল(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পূর্ব ভাদেশ্বর পুকুরপাড় গ্রামের বহু অপকর্মের হোতা মোঃ মুসা মিয়া(১৮)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোঃ মুসা মিয়া পূর্ব ভাদেশ্বর পুকুরপাড় গ্রামের আব্দুল আহাদ মিয়ার ছেলে।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার পূর্ব ভাদেশ্বর পুকুরপাড় গ্রামের আব্দুল আহাদ মিয়ার ছেলে, বহু অপকর্মের হোতা মোঃ মুসা মিয়া দীর্ঘদিন যাবত স্কুল ও গ্রামের সরলমনা মেয়েদের সাথে ভালোবাসার নামে প্রতারণা করে আসছে।সে গত ২৫শে জুলাই বিকেলে প্রতিবেশী ৪র্থ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে কোশলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।

এসময় মেয়েটাকে একা পেয়ে মুসা মিয়া জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে।মেয়েটি তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়টি তার অভিভাবকদের জানায়।অভিভাবকরা এ ঘটনা শুনার পর গ্রামে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়,লম্পট মুসাকে গ্রেফতারের আশ্বাস দেয় বাহুবল মডেল থানা পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেল সিনিয়র এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী, বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও ইনস্পেক্টর তদন্ত আলমগীরকে সাথে নিয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে লম্পট মুসাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

এ ব্যাপারে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেল সিনিয়র এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে ফয়জাবাদ স্কুল ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মোঃ হারুন আর রশীদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মুসা মিয়া দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে, আমি ইতিপূর্বে স্কুলে তার একাধিক বার বিচার শালিস করেছি।

কিন্তু এখন পর্যন্ত মুসা তার অপকর্ম চালিয়েই যাচ্ছে। আর মুসা মিয়ার এসব ঘটনা তার পরিবারের লোকজন সাপোর্ট দিচ্ছে, কেউ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলে উল্টো প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধেই উত্তেজিত হয়ে উঠে মুসার স্বজনরা।
মুসার অপকর্মে আমরা এলাকাবাসী বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছি। আজ ৩১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে ধর্ষক মুসাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।