বারবার ফোন করাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ; ৩ নারীসহ আহত ৫

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ১০ ২০২০, ১৮:৩৯

সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার নরশিংপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে, মোবাইল ফোনে এক চাচাতো ভাই আরেক ভাইকে বারবার কল দেয়াকে কেন্দ্র করে, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তিন নারীসহ ৫জনের অবস্থা আশংকা জনক। মূমুর্ষ অবস্থায় নাজমা ও দুলারি নামের দুই মহিলা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

এলাকাবাসীর (দৌলতপুর) সাথে টাইম সিলেট প্রতিনিধির কথাবার্তা কালে জানা যায়, গত সপ্তাহ খানেক আগে ১ম পক্ষ মিয়াজুল হকের ছেলে আবুল হাসনাত (১৫) এর মোবাইলে তার চাচাতো ভাই ২য় পক্ষ তজমুল আলীর পুত্র সাইফুল (১২) বারবার কল দেয়, এতে বিরক্ত হয়ে সে তার বাবার কাছে বিষয়টি অবহিত করে। মিয়াজুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুলকে দু-একটি চড়-ও মারেন। তবে এতে সাইফুলের পরিবার ছেলেকে তিনি (মিয়াজুল) চাচা হিসেবে শাসন করার অধিকার আছে বলে পাত্তাই দেননি।

গত বৃহস্পতিবার (৮অক্টোবর) নাজমা বেগম (৩৫) স্বামী আজাদ মিয়া বাপের বাড়ি আসার পথে, কেনো আসলো? এ বাড়িতে আসতে পারবেনা? বলে ২য় পক্ষের চাচাতো ভাই রজীব আলী (৩৫) ও আইনুল আলী (৩০) পিতা জমীর আলীর পুত্ররা বাড়ির রাস্তায় এলোপাতাড়ি কিলগুষি মারতে থাকে। নাজমার চিৎকারে তার বোন দুলরী বেগম (৪০) স্বামী শানুর আলী ও রুমানা বেগম (৫০) স্বামী সুনাফর আলী দৌড়ে আসলে, তাদেরকেও লাটিশুটা দিয়ে আঘাত করতে থাকে ২য় পক্ষের চাচাতো ভাইয়েরা। এক পর্যায়ে ২য় পক্ষের জমির আলীর বড়ো ছেলে তজমুল আলী (৪৫) এসে ১ম পক্ষের নাজমা, দুলরী ও রুমানাকে দিক্বিদিক আঘাত করতে থাকলে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে, তাদের ভাই মিয়াজুল হক (৫৫) চলে আসলে তার সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জমির আলীর লোকজন। পরে স্থানীয় মুরব্বিদের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এদিকে অজ্ঞান অবস্থায় ১ম পক্ষের মহিলা নাজমা, দুলরী ও রুমানাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে-কর্তব্যরত চিকিৎসক , সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে তাহারা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যদিকে ২য় পক্ষের আইনুল আলীর আহতের খবর পেলেও, তাকে কোন চিকিৎসা সেবায় কিংবা বাড়িতে খোঁজে পাননি স্থানীয় সংবাদকর্মী।
পরিবার সুত্রে জানাজায় ১ম পক্ষের আহত মিয়াজুল হককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়েছে ।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে একটি বিচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে-রুগিরা সুস্থ হয়ে আসলে তা সমাধানের ব্যবস্থায় যাবো আমরা। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেম্বার নুরুল বলেন, অবশ্যই মূমুর্ষ রোগিদের আমরা দেখতে যাবো এবং যথাযথ চিকিৎসার জন্য সবকিছু করবো। নরশিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অবহিত নয় বলে জানান। দৌলতপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিজের মধ্যে বিরাজমান এই বিষয়টি নিয়ে মৌন ক্ষোভ চরম পর্যায়ে, ঘটতে পারে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা