বাংলার জনতা ইসলাম চায়, সরকার নবীর দুশমনকে অসন্তুষ্ট করতে চায় না

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ৩১ ২০২০, ২০:২২

আবদুর রব ইউসুফী

অতীতে যখনই আল্লাহ, রাসুল বা ইসলাম নিয়ে কেউ কটাক্ষ করেছে, তখনই বাংলার মুসলিম জনতা গর্জে উঠেছে। এবারও তাই হয়েছে, বরং অতীতের চেয়েও আরো জোরালো হয়েছে। কয়েক দিন যাবত অনবরতই চলছে প্রতিবাদের ঝড়। তবে গতকাল দেশব্যাপী গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বাজার, অলি-গলি একাকার হয়ে গিয়েছিল নবীপ্রেমে। বাংলার মনুষ সইতেই পারছিল না তাদের নবীর অবমননা। খৃষ্টানদের রাষ্ট্র ফ্রান্স। তাদেরকে ধিক্কার জানাবার ভাষা যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

এতদসত্বেও তাদের নবী ঈসা আ. এর প্রতি মুহব্বত ও সন্মানবোধের কোন কমতি ছিল না মুসলমানদের অন্তরে। কারণ, ইসলাম হচ্ছে বাস্তবতার ধর্ম। সত্যকে সত্য, আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলে স্বীকৃৃতি দেয়ার ধর্ম।

নবীপ্রেমিকরা গতকাল বায়তুল মোকাররমে নবীপ্রেমে যেন আত্নহারা হয়ে গিয়েছিল। অনেক মত-পথের লোকেরা একত্র হলেও কারো সাথে কারো যেন ন্যূনতম দূরত্ব নেই। নবীপ্রেমে যেন সব ভুলে গেছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও তার আশপাশে তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না।

এর‌ই মধ্যে বলতে গেলে একটা নুতন মাত্রা ছিল গতকাল। সাতটি রাজনৈতিক দল সমমনা ইসলামী দলের ব্যানারে একত্রে সমাবেশে মিলিত হয় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে। পল্টন মোড় পর্যন্ত ছেয়ে যায় সেই সমাবেশ। ধন্যবাদ সমমনা ইসলামী দলসমূহের নেতৃবৃন্দকে। এই ঐক্য আরো মজবুত হোক, অটুট থাকুক অনাদিকাল।

তবে হ্যাঁ, আন্দোলন এখানেই শেষ নয়। আগামী সোমবার আসছে হেফাজতে ইসলামের ফ্রান্স দুতাবাস ঘেরাও কর্মসুচী।

সবকিছুর মধ্যেও যে অভাবটা রয়ে গেছে, তা হচ্ছে আমাদের সরকারের ভূমিকা। বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রই সরকারি ভাবে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু বিরানব্বই পার্সেন্ট মুসলমানের দেশের সরকার এখনও চুপ। সরকার দেশের জনতার চাহিদা যেন বুঝার যোগ্যতাই হারিয়ে ফেলেছে। সরকার এতটাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং ঘুমে বিভোর হয়ে আছে যে, যে কোন সময় ঘুমের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবে।