বাঁশখালীর পুকুরিয়া উন্মুক্ত লাইব্রেরি জ্ঞানের তৃষ্ণা মিটাচ্ছে

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ০১ ২০২০, ২১:৪৪

নুর আহমেদ সিদ্দিকী: পুকুরিয়া উন্মুক্ত লাইব্রেরি জ্ঞানপিপাসু মানুষের চাহিদা পূরণ করে চলছে।বই প্রেমি মানুষের কাছে এটি একটি প্রিয় অঙ্গন। বাঁশখালীর অন্তর্গত পুকুরিয়া ইউনিয়নের বনাপুকুর পাড়েই এই উন্মুক্ত লাইব্ররি অবস্থিত। ২০১৪ সালে এই লাইব্রেরি সরকারীভাবে রেজিঃ ভূক্ত হয়। বলা যায় এলাকার ছাত্র ছাত্রী আর বই প্রেমিদের জন্য এটি একটি উন্মুক্ত পাঠশালা। এই পাঠশালায় না আছে শিক্ষক,না আছে শাসন ব্যবস্থা।এখানে বসে ইচ্ছে মতো জ্ঞানের সাগরে সাঁতার কাটতে পারে জ্ঞানপিপাসু বন্ধুরা।মনের মাধুরি মিশিয়ে পড়া যায় কবিতা, গল্প,উপন্যাসসহ নানা ধরণের গ্রন্থ।ধর্ম থেকে বিজ্ঞান, সাহিত্য থেকে রাজনীতি সব বিষয়ের বইয়ের সমাহার রয়েছে।

এই লাইব্রেরি এলাকা কিছু সচেতন ছাত্র আর যুবকদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।স্বার্থহীন এই কর্মে অনুপ্রেরণা যুগাচ্ছে পুকুরিয়া নতুন পাড়া ছাত্র সংঘ।সমাজ সেবামূলক এই প্রতিষ্ঠান দলীয় সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে কাজ করে যাচ্ছে।সমাজ সেবার পাশাপাশি সাহিত্য, খেলাধুলা নিয়েও কাজ করছে এই সংগঠন।যখন সমাজের অধিকাংশ যুবক মাদকের প্রতি ঝুঁকছে ঠিক সেই মুহুর্তে পুকুরিয়া ইউনিয়নের এই লাব্রেরি ও ক্লাব নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।এভাবে প্রতি পাড়া মহাল্লায় লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জ্ঞানের অালো ছড়িয়ে দিতে পারলেই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল অনেকটা সহজ হবে।

জ্ঞান বিতরণে পুকুরিয়া উন্মুক্ত লাইব্রেরির এই অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পুকুরিয়ার অন্যান্য পাড়া মহাল্লার জন্য এই উন্মুক্ত লাইব্রেরি একটি মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে।সাহিত্য প্রেমি মানুষের মনের খোরাক যোগাতে আমি মনে করি প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা উচিত।এতে করে মানুষের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে।যারা বই প্রেমি তাদের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ থাকেনা বললেই চলে। সুতরাং মানুষের মাঝে বই প্রেম সৃষ্টি করতে পারলে

সমাজে শান্তি ফিরে আসবে।অবশেষে পুকুরিয়া উন্মুক্ত লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ কে ধন্যবাদ জানাতে হয়।

বিঃদ্রঃ আপনি চাইলে বই উপহার দিয়ে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে পারেন