ফেসবুকের সার্ভার ডাউন: ৬ ঘণ্টায় ক্ষতি ৬০০ কোটি ডলার

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ০৫ ২০২১, ১৪:৫৪

ফেসবুক সম্পর্কে একজন ‘হুইসেলব্লোয়ার’ বা সতর্ককারীর অভিযোগ সামনে আসার পর এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ প্রায় ছয় ঘণ্টা অফলাইন বা বন্ধ থাকার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গের ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে।

বিশ্বের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের তালিকা থেকেও একধাপ নিচে নেমে গেছে ফেসবুকের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতার নাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।

শেয়ার বাজারেও ধসের মুখে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার ফেসবুকের শেয়ারের ৪ দশমিক ৯ শতাংশ দরপতন হয়। এতে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির পর থেকে দরপতন হলো ১৫ শতাংশ।

সোমবার দিনের শেষে জাকারবার্গের সম্পদের পরিমাণ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ছয় বিলিয়ন ডলার কমে ১২১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমতে কমতে জাকারবার্গের সম্পদের পরিমাণ ১২১ বিলিয়নে নেমে গেল।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ধনীদের তালিকায় বিল গেটসের নিচে পঞ্চম অবস্থানে চলে গেছে মার্ক জাকারবার্গের নাম।

সার্ভার ডাউন হওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ তাঁদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বন্ধু, পরিবার ও অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ বিভ্রাট শুরু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১০টার পর থেকে বাংলাদেশেও এ সমস্যা দেখা দেয়।

বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার ভোরে ফেসবুক এক টুইটার বার্তায় বলে, ‘বিশ্বব্যাপী আমাদের ওপর নির্ভর করা বিপুল জনগোষ্ঠী ও ব্যবসায় জড়িতদের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে, আমাদের অ্যাপস ও সেবাগুলো অনলাইনে ফিরতে শুরু করেছে। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ অসঙ্গতি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে শুরু করে। ফেসবুকের ভেতরকার কিছু নথির ভিত্তিতে ওয়ালস্ট্রিট জানায়, ফেসবুক জেনেশুনে তাদের পণ্যের অনেক সমস্যা এড়িয়ে যায়। যেমন ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে কিশোরকিশোরীদের মানসিক ক্ষতি এবং ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলা বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য। ফেসবুক এগুলোকে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চায়।