ফটিকছড়ি মাইজভান্ডারস্থ পশ্চিম নানুপুরের মন্নানীয়া এলাকায় দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসা নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হাসানের নেতৃত্বে হামলা, ভাঙ্গচুর ও ৬ জন তাওহিদীজনতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, জামিয়া বাবুনগরের মহাপরিচালক ও ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি ফটিকছড়ি’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

তিনি বলেন, আমরা এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই৷ যারা পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফটিকছড়ির শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আজ ৪ জানুয়ারি দুপুরে ঘটনা-পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এসব কথা বলেন।

ফটিকছড়িতে বেদ’আতি মাজার পূজারীদের এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নতুন কিছু নয়৷ গত কয়েক বছর আগেও জমিরিয়া মাদ্রাসায় অতর্কিত ও পূর্ব পরিকল্পিত হামলা করেছিল চিহ্নিত ঐ সুন্নাহ-বিরোধী চক্রটি।

দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনার যথাযথ বিচার না হলে পুরো দেশজুড়ে প্রতিবাদী আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠতে পারে হুশিয়ার উচ্চারণ করেন। এবং কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে প্রশাসনকে এর দায়ভার বহন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, দখলের উদ্দেশ্যে দারুচ্ছালাম ঈদগাহ মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা বরদাশত করা হবে না। দেশী-বিদেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের রক্তাক্ত করে চরম দৃষ্টতা আর দুঃসাহস দেখানো হয়েছে।

মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে আকিদায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলোকে বেরলবী ও মাজার পূজারিদের ভ্রান্ত বিশ্বাস ও রুসূমাতের বিরুদ্ধে সরকারের নির্দেশনা মেনে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের আন্দোলনে কখনও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা ভাঙচুর হয়নি।কোন হামলা, হত্যা ও হানাহানি হয়নি৷ তিনি আরও বলেন, বেদআতী মাজার পূজারীরা বিনা উস্কানিতে কওমি মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্র ও আলেমদের উপর রক্তাক্ত হামলা চালিয়ে ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ৯০ শতাংশ মুসলিম আধ্যুষিত দেশে বিশেষ করে আহলে হক তথা হাজারো আওলিয়ায়ে কেরাম ও আলেমদের পূণ্যভূমি খ্যাত ফটিকছড়ির মাঠিতে দারুচ্ছালাম মাদ্রাসায় গুটিকয়েক ভন্ডরা হামলা চালিয়ে কোটি-কোটি তাওহিদীজনতার কলিজায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।

সুতরাং প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবী, এই ন্যাক্কারজনক হামলার প্রকৃত দোষীদের দ্রুত সময়ে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে৷ অন্যতায় ফটিকছড়িতে যেকোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় প্রশাসনই দায়ী থাকবে৷

বার্তা প্রেরক: আবু মাকনূন মুহাম্মদ আজিজী, সিনিয়র শিক্ষক: জামিয়া বাবুনগর, ফটিকছড়ি৷