প্রধানমন্ত্রী দ্বিমুখী নীতি ছেড়ে আল্লামা বাবুনগরীর অধিকার ফিরিয়ে দিন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ২৯ ২০১৯, ০৪:৩২

আল-আমিন আরাফাত: পরিচালক আমজাদ হোসেনের অবস্থার অবনতি, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ২০লাখ টাকার অনুদান ৷ এয়ার এম্বুলেন্সসহ ব্যাংককে আমজাদ হোসেনের সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অবশেষে আমজাদ হোসেন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৷ কুদ্দুস বয়াতি, নূতন, রেহানা জলি, প্রবীর মিত্র এই চার শিল্পীকে প্রধানমন্ত্রীর ৯০লাখ টাকার সহায়তা। অভিনেত্রী আনোয়ারার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৩০লাখ টাকার অনুদান। অভিনেতা আফজাল শরীফকে ২০লাখ টাকার অনুদান৷
আসলে এমন অনেক উদাহরণ আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহৎ কর্মের ৷ শিল্পী, খেলোয়াড়, নারীবাদী কর্মীসহ অনেকের পাশেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়েছেন। কোথায় নেই প্রধানমন্ত্রীর মমতার ছোঁয়া?

পেট্রোল হামলায় আহতদের পাশে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, চোখের পানি ফেলেছেন। নিমতলী অগ্নীকাণ্ডে সর্বহারা দুই মেয়েকে নিজের মেয়ের স্বীকৃতি দিয়েছেন।

এগুলো সবাই দেখে এবং জয় বাংলার লোকেরা এগুলো প্রচার করে, মার্কেটিং করে, কিন্তু কেউ দেখে না, প্রচার করে না খতিব উবায়দুল্লাহরা বিনা চিকিৎসায় মারা যায়, বঙ্গবন্ধুর দেয়া বাড়ি কেড়ে নিয়ে তাকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয়, জুনায়েদ বাবুনগরীর পাসপোর্ট আটকে রেখে তাকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেয়া হয়।

আমরা এমন দেশে বাস করি, যে দেশে সামান্য একজন কৌতূক শিল্পী অসুস্থ হবার পর খবর প্রচারিত হলে পরদিন প্রধানমন্ত্রীর লাখ লাখ টাকার অনুদান চলে যায় ৷ কিন্তু দেশবরেণ্য আলেমদের পাসপোর্ট আটকে তার চিকিৎসা বন্ধ করে তাকে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দেয়া হয়।

তারপরও আমরা প্রধানমন্ত্রীর শুকরিয়া আদায় করছি, এতোদিন আমরা মানুষের ‘লাত্থি উষ্ঠা’ খেয়ে বড় হয়েছি, অবহেলিত ছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের মর্যাদা দিয়েছেন।

আমাদের হয়ে অনেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চাইছেন ৷ তিনি ক্ষমতায় এসে আমাদের মনের আশা পূরণ করেছেন ৷ ২০২৩ সালের নির্বাচনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় দেখতে চাই। তবে আমাদের চাওয়া শুধু এটুকুই যে, তিনি যেন আলেমদেরকে তদীয় অধিকার বঞ্চিত না করেন ৷ মারাত্মক অসুস্থ আল্লামা বাবুনগরীর চিকিৎসার ভার গ্রহণ করেন!