প্রচন্ড গরমে করনীয় ও বর্জনীয়

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ১৪ ২০১৯, ০০:০৮

মাহবুব হুসাইনঃ
বাংলাদেশ গ্রীষ্মপ্রধান দেশ।ছোটবেলা থেকেই গরম আবহাওয়ার সাথে আমরা বেশ মানিয়ে নিয়েছি।বলতে গেলে আমরা গরমেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।বাংলা বছরের শুরুটাও হয় গ্রীষ্মকাল দিয়ে।খুব সম্ভবত বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালেই সবচেয়ে বেশী পরিমানে মিষ্টি ফল পাওয়া।আর এজন্যই গ্রীষ্মকালকে আমরা মধুমাস বলি।কি্ন্তু সেই মধুমাস আর নেই।আবহাওয়ার গত কয়েকবছরে যে পরিবর্তন এসেছে তা বেশ অস্বাভাবিক।
অতিরিক্ত গরমের কারনঃ বিশেষ কারন হচ্ছে বছরের ঠিক দুই সময় পৃথিবী বিষুবরেখার সূর্য্ বরাবর অবস্থান করে। এতে সূর্যরশ্নি সরাসরি পৃথিবীর পৃষ্ঠে এসে পড়ে। ফলে বেশী গরম অনুভূত হয়। বছরের এই দুই সময় হচ্ছে মে মাসের ২২-২৮ এবং সেপ্টেম্বরের ২২-২৮ থেকে। এই সময় দিন রাত সমান থাকে।
গরম আবহাওয়া সবচেয়ে ঝুকিপূর্ন যাদের জন্য!
*১০ বছরের নিচে শিশু
* দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগছেন এমন কেউ
*যারা সরাসরি সূর্যের নিচে কাজ করেন
*যারা কম বতাসযুক্ত এলাকায় কাজ করেন।
অতিরিক্ত গরমে করণীয়ঃ ১.ঘরে যথাসম্ভব ঠান্ডা পরিবেশে অবস্থন করুন।
২.অপ্রয়োজনীয় কারনে দিনে,বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা বাইরে বের না হওয়া ভাল।
৩.সারা দিনে প্রচুর পানি পান করুন। বাইরে বের হওয়ার সময় পানি সাথে নিন। দিনে কমপক্ষে তিন লিটার পানি পান করুন।
৪.গরমে আরামদায়ক পোশাক পরিধান করুন। বাচ্চাদের জন্য সুতির হাল্কা রঙের কাপড় নির্বাচন করুন। খুব গরমে কালো রঙ পরিহার করুন।
৫. প্রচুর পরিমানে ফল ও ফলের জুস খান। গরমের সময় টক ফল খুবই ভালো।
৬. প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় সবুজ সালাদ বা সবজি রাখুন। এতে শরীরে পানি ও খনিজের ঘাটতি হবে না এবং শরীরে ঠান্ডা থাকবে।
৭. অতিরিক্ত গরমে ড্রিংকস পান থেকে বিরত থাকুন। ড্রিংকস শরীরের পানিকে নিরুদিত করে যা শরীরে পানি স্বল্পতা তৈরী করে।
৮.ফাস্টফুড এবং তেল চর্বি জাতীয় খাবারকে না বলুন। গরমে এ জাতীয় খাবার যত বেশী খাবেন,তত বেশী গরম লাগবে। স্ট্রীট ফুড বর্জন করুন অতিরিক্ত গরমে।
৯.প্যাকেটের গায়ে নির্দেশিত পরিমান পানির চেয়ে কম পানি দিয়ে স্যালাইন খাবেন না। শুধু স্যালাইনের গুড়া খেলে বা কম পানি দিয়ে স্যালাইন খেলে লবনের ঘনত্ব বেড়ে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
এই গরমে নিজের পাশাপাশি আপনার পরিবারের যত্ন নিন। বাইরে চলাফেরার সময় বয়স্ক এবং শিশুর দিকে খেয়াল রাখুন,তাদেরকে অগ্রাধিকার দিন যানবাহনে চলাচলের ক্ষেত্রে। কেউ অসুস্থ হলে সচেতনার সাথে সিদ্ধান্ত নিন। সচেতন থাকুন সুস্থ থাকুন ।