নাস্তিক্যবাদী ও চুরি করা শিক্ষা সিলেবাস বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ২২ ২০২৩, ১০:৫০

ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম-২০২৩ প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। নতুন পাঠ্যবইয়ে ইসলামী শিক্ষা সংকোচন করা হয়েছে। এদেশের ব্রিটিশ পূর্ববর্তী মুসলিম শাসক ও ইসলামী সমাজব্যবস্থাকে খাটো করা হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে এই বাংলার মুসলিম বীরদের ভূমিকা উপেক্ষা করা হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের লেখা সংকুচিত করা হয়েছে। পর্দা, হিজাব, বোরকা ও ইসলামী পোশাক নিয়ে ভয়াবহ কটুক্তি করা হয়েছে।

মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে ইসলামী মূল্যবোধ পরিপন্থি লেখা ও ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে। ইসলামী বিশ্বাস পরিপন্থি বিবর্তনবাদ স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠ্য করা হয়েছে। কোন অপশক্তির ইন্ধনে পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের মনে এমন সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও ইসলাম বিদ্বেষ সৃষ্টি করা হচ্ছে তা সরকারকে অবশ্যই খাতিয়ে দেখতে হবে।

বিদ্যমান পাঠ্যবই বহাল থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেবল ঈমানহারা হয়েই গড়ে ওঠবে না বরং ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদী মানসিকতা নিয়ে বেড়ে ওঠবে। ৯২ ভাগ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

নতুন শিক্ষাক্রম বিজ্ঞান শিক্ষাকে সংকুচিত করে ফেলেছে। মূলধারার শিক্ষাকে একধরণের কারিগরি শিক্ষায় রূপান্তরের ফলাফল দেশের জন্য শুভ ফল নিয়ে আসবে না। চতুর্থ প্রজন্মের শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যে ধরণের উদ্ভাবক, গবেষক ও নেতৃত্ব দরকার নতুন শিক্ষাক্রম তা সরবরাহ করতে ব্যার্থ হবে। নতুন শিক্ষাক্রম এদেশকে শুধুমাত্র উন্নত দেশগুলোর উদ্ভাবনী শক্তির বড় বাজারে পরিণত করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তাই আমাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতের জন্য এমন একটি শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে যা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যশীল হবে এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অবিলম্বে পাঠ্যবইয়ের বিতর্কিত অংশগুলো সংশোধন করতে হবে। পাঠ্যবই প্রণয়নে বিশেষজ্ঞ কমিটির মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ব্যক্তি ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম-উলামাকে অন্তুর্ভুক্ত করতে হবে।

বিতর্কিত ও নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস বাতিলের দাবিতে ২১ জানুয়ারি’ ২৩, শনিবার, জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিলাল আহমদ চৌধুরী এসব কথা বলেন

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি নুর মুহাম্মদ এর সভাপতিত্বে ও উত্তর সভাপতি মাহমুদুল হাসান রাসেল এর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলীসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ।