নতুন ভিডিওবার্তায় আইএস নেতা আল-বাগদাদির আবির্ভাব

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ৩০ ২০১৯, ২১:৫৪

আবির আবরার:
সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এক ব্যক্তির একটি ভিডিও প্রকাশ করে তাকে তাদের নেতা আবু বকর আল বাগদাদি বলে দাবি করেছে। ভিডিওতে বাগদাদি বলে কথিত ওই ব্যক্তিকে ভূখণ্ড হারানোর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় জানাতে এবং শ্রীলঙ্কা হামলা নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে, খবর বিবিসির।

নতুন ভিডিওতে বাগদাদিকে ওই অঞ্চলে আইএসের শেষ ঘাঁটি বাঘুজে পরাজয় স্বীকার করে নিতে দেখা গেছে। ভিডিওটি কখন রেকর্ড করা হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। আইএস জানিয়েছে চলতি এপ্রিল মাসেই এই ভিডিওটি গ্রহণ করা হয়েছে।

১৮ মিনিটের ওই ভিডিওটি জঙ্গিগোষ্ঠীটির আল ফুরকান মিডিয়া নেটওয়ার্কে পোস্ট করা হয়েছে। এতে বাগদাদি বলেছেন, “সিরীয় শহর বাঘুজ হারানোর প্রতিশোধ হিসেবে ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কায় হামলা চালানো হয়েছে।” অথচ আইএস পূর্বে শ্রীলঙ্কা হামলার দায় স্বীকার করলেও প্রাথমিক ওই দাবিতে বাঘুজ শহরের কথা উল্লেখ করেনি।

বুরকিনা ফাসো ও মালির সশস্ত্র যোদ্ধারা তার আনুগত্যের অঙ্গীকার করেছে বলে ভিডিওতে জানিয়েছেন তিনি। সুদান ও আলজেরিয়ার সরকারবিরোধী বিক্ষোভ নিয়েও কথা বলেছেন। স্বেচ্ছাচারী শাসকদের একমাত্র সমাধান ‘জিহাদ’ বলে দাবি করেছেন তিনি।

বাঘুজ নিয়ে তিনি বলেছেন, “বাঘুজের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। এই যুদ্ধের পর আরও যুদ্ধ আসছে।”

এদিকে আলজেরিয়া ও সুদান, চলতি মাসে দুটি দেশেই গণবিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিনের শাসকরা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

শেষ দিকে ভিডিওটি থেকে বাগদাদির ছবি অদৃশ্য হয় এবং বদলে তার একটি অডিও রেকর্ডিং শোনানো হয় যেখানে তিনি শ্রীলঙ্কার হামলা নিয়ে আলোচনা করেন। মূল ভিডিওটি শেষ হওয়ার পর এই অংশটি যোগ করা হয়ে থাকতে পারে বলে মত বিবিসির।

বাগাদাদি ইরাকের একজন নাগরিক এবং তার প্রকৃত নাম ইব্রাহিম আওয়াদ ইব্রাহিম আল বদরি। গত অগাস্টে একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে শেষবারের মতো তার কণ্ঠ শোনা গিয়েছিল।

২০১৪ সালে প্রকাশিত আরেক ভিডিওতে ইরাকের মসুল শহরের গ্রান্ড মসজিদের মেহরাব থেকে বাগদাদিকে সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তৃত অঞ্চলে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে দেখা গিয়েছিল; তারপর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি।

দীর্ঘ দিন নিশ্চুপ থাকার এই সময়টিতে কয়েকটি অসমর্থিত প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর খবরও দেয়া হয়েছিল। এরপর সত্যাসত্য নির্ধারণ করা যায়নি এমন কয়েকটি অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করে সেগুলো বাগদাদির বলে দাবি করেছিল আইএস।

ভিডিওটির সত্যাসত্য নির্ধারণের জন্য বিশ্লেষকরা টেপটি তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র।