দেশি-বিদেশি মুবাল্লিগদের বয়ানে মুখর ইজতেমা ময়দান

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ১৪ ২০২৩, ১৯:৪২

ইবাদত-বন্দেগি আর আম-খাস বয়ানের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে। শনিবার (১৪ জানুয়রি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শুরু হয়।

ইজতেমা ময়দানে দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত আলেম ও মুবাল্লিগরা কোরআন-হাদিসের আলোকে বয়ান করছেন। তাৎক্ষণিক অনূদিত বিভিন্ন ভাষার বয়ান ধৈর্য সহকারে শুনছেন মুসল্লিরা। বয়ানের মূল বিষয়, নিজে ইসলামের পথে চলা এবং অন্যদের ইসলামের পথে চলার দাওয়াত দেওয়া।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদুল হক। সকাল ১০টায় বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা, মাদরাসা ছাত্রদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদ, আরব জামাতের জন্য বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমদ লাট, বোবা ও বধিরদের জন্য বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা সানোয়ার, বিদেশি জামাতের মুসল্লিদের জন্য ইংরেজিতে বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা ইফতার জামান। বাদ জোহর বয়ান করছেন ভারতের মাওলানা ফারুক। বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা যুহাইরুল হাসান এবং অনুবাদ করবেন মাওলানা যোবায়ের।

সকালে বয়ানে উলামায়ে কেরাম বলেন, দাওয়াতের মেহনত হলো নবুওয়াতি মেহনত। এই মেহনত খুলুসিয়াত ও আজমতের সঙ্গে যারা করবে তাদের যেকোনো আমলের ফজিলত বহুগুণ বেড়ে যায়।

বয়ানে বলা হয়, পরকালের চিরস্থায়ী সুখ শান্তির জন্য আমাদের প্রত্যেককে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দীনের দাওয়াতের কাজে জানমাল দিয়ে মেহনত করতে হবে। ঈমান আমলের মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব হতে পারবে না।

ইজতেমায় মূল বয়ান উর্দুতে হলেও অংশ নেওয়া বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়।

আগামীকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে ইজতেমা আয়োজক সূত্রে জানা গেছে। এর আগে হেদায়েতি বয়ান করা হবে।

তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বিদের পরামর্শের ভিত্তিতে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মোনাজাতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হবে। আখেরি মোনাজাতে প্রায় ২৫-৩০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নিবেন বলে আয়োজকদের ধারণা।