দারাজে মোবাইল অর্ডার করে মিলল ৩ প্যাকেট হুইল সাবান!

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ০৮ ২০১৯, ১৭:২৯

 

যুগ চলছে ইন্টারনেটের গতিতে। ঘরে বসেই মানুষ বিশ্বকে নিজের মুঠোয় ভরে ফেলেন ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

বর্তমান ইন্টারনেটে কেনা-বেচার বিষয়টি বেশ প্রচলিত। এ জন্য দেশে নানা নামে অনলাইন শপ চালু হয়েছে।

তবে এ পরিষেবায় অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে খবর।

এমনই অভিযোগ এসেছে দেশের বৃহৎ অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম দারাজের বিরুদ্ধে।

দারাজের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ভাকুড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন লিটন একটি অভিযোগ করেছেন।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ইন্টারনেটে দারাজ অনলাইন শপে দেয়া বিজ্ঞাপন দেখে স্যামসাং এস৮ প্লাস মোবাইল অর্ডার করেন লিটন। অর্ডারের দুই দিন পর ঠাকুরগাঁও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে তাকে জানানো হয় যে, তার নামে একটি প্যাকেট এসেছে।

গত ৬ এপ্রিল সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ঠাকুরগাঁও সদর শাখায় গিয়ে তিনি মোবাইল ফোনটির দাম ৩৬ হাজার ২৭১ টাকা পরিশোধ করেন।

এরপর দারাজ থেকে পাঠানো প্যাকেটটি কুরিয়ার সার্ভিসের লোকজনের সামনেই তিনি খুললে তার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়।

তিনি দেখেন, ভেতরে কোনো ফোন নেই। ফোনের বদলে রয়েছে ৩টি হুইল সাবান।

বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে জানান ও দারাজের কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন।

এ বিষয়ে আমজাদ হোসেন বলেন,‘ ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে আমাকে জানিয়েছেন দারাজের কর্তৃপক্ষ। আর আমার জন্য একটি স্যামসাং এস৮ প্লাস মোবাইল পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। তবে সেই ফোন এখনও হাতে পাইনি।’

সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সিসি টিভি ফুটেজে ঘটনাটি রেকর্ড রয়েছে জানিয়ে লিটন আরও বলেন, ‘এইরকম একটি প্রতিষ্ঠানে পণ্য অর্ডার করে যদি ফোনের বদলে হুইল সাবান পাই, তাহলে অনলাইনে কেনাকাটা থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে যাবে।’

এ ব্যাপারে ওই অনলাইন শপের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়েজ বলেন, ‘ব্যাপারটা আমরা জেনেছি। কোথাও একটা ভুল হয়েছে। ভুলটা কোথায় হয়েছে সেটা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’

ভুক্তোভোগী গ্রাহকের কাঙ্খিত মোবাইলটি তারা আবার পাঠিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘ মঙ্গলবারের (৯ এপ্রিল) মধ্যে ফোনটি তার হাতে পৌঁছে যাবে।’

সম্প্রতি অনলাইন শপে পণ্য অর্ডার করে একইরকম ভুক্তোভোগী হয়েছেন লক্ষ্মীপুরের পিয়াস সরাকার নামের এক যুবক।

তিনি ‘স্মার্ট শপ ঢাকা’ নামে একটি অনলাইন শপে এক হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে একটি ঘড়ি অর্ডার করেন।

পরবর্তীতে তার ঠিকানায় যে প্যাকেটটি পাঠানো হয় সেখানে ঘড়ির বদলে দুটি বড় বড় পেঁয়াজ পান তিনি।