তিন যুগ ধরে কুড়ি প্রজেক্টে সেবা দিয়ে আসছে আল-মারকাজুল ইসলামী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ১১ ২০২০, ২২:৪৬

মাহবুবুর রহমান

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেখানে এনজিও নাম শুনলেই মনের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে কিস্তি পরিশোধসহ নানা হেনস্থা ও নিপীড়নের চিত্র, সেখানে এনজিও নামের কলঙ্ক মুক্ত করতে অসাধারণ প্রতিভাবান, মানবতার মূর্ত‌ প্রতীক মুফতি শহিদুল ইসলামের হাতে বেসরকারি সেবা সংস্থা (এনজিও) “আল-মারকাজুল ইসলামী, বাংলাদেশ” ১৯৮৮ সালে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ মহীয়সী ত্রাতা তার ছাত্রজীবন থেকেই মানব সেবার পিপাসায় কাতর ছিলেন। মাদরাসার ছুটিকালীন সবাই যখন নিজ নিজ গৃহে আরামে দিন কাটাতো, তখন তিনি ছুটে বেড়াতেন দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের দুয়ারে। কোথাও কেউ কোন কষ্টে আছে কিনা, তার খোঁজে। এ যেন তার পেশা নয় শুধু, নেশায় পরিণত হলো। সেই পিপাসা বুকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহ দুর্যোগকালীন সময়ে। যে দুর্যোগের মনে পড়লে মানুষের পিলে চমকে দেয়।

এ মানবতার সেবক মুফতি শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে মুসলিম বিশ্বের সর্বত্রই “খাদিমুল ইনসান” হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। যিনি জনতার সেবক হিসেবে বিগত জোট সরকারের আমলে নড়াইল-২ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়ে দেশ ও জাতির খেদমতে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় সুদীর্ঘ ৩২ বছরে পদার্পণ করেছে আজকের “আল-মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশ”। নানা ধরনের বাধা বিপত্তি ও চড়াই-উৎরাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, জেল-জুলুমসহ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সাগর পেরিয়ে আজকের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মারকাজ।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফনে প্রথম দিকে আত্মীয়-স্বজনরাও এগিয়ে আসেনি। এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেকায়দায় পড়ে। লাশ দাফনের বৃহৎ সংস্থা আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে ডেকে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফনে সহায়তা চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু মহামারীর এ বিপদের সময়ে কেউ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিল্পপতি সালমান এফ রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামী এনজিও “আল-মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশ” করোনা সন্দেহে বা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর নিরুপায় হয়ে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফনে ইসলামী এনজিও আল-মারকাজুল ইসলামীর সহায়তা চাইলে সংস্থার পক্ষে মুফতি শহিদুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র মারকাজের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হামযা ইসলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবে তাৎক্ষণিক সম্মতি প্রকাশ করেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে এ কাজে এগিয়ে আসেন। কথায় আছে, “বাপকা বেটা সিপাহী কা ঘোড়া, কুছ না হো তো থোরা থোরা” এককথায়- যেমন বাপ তেমন বেটা।

গত ২৯ মার্চ প্রথম রাজধানীর খিলগাঁও-তালতলায় মহামারী করোনা সন্দেহে মৃত এক মহিলার লাশ দাফনের মধ্য দিয়ে আল-মারকাজুল ইসলামীর এ নতুন কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। সংস্থাটি বর্তমানে ৩ জন মহিলাসহ ১৮ জন কর্মী এবং ডজন খানেক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে করোনায় মৃত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের লাশ দাফনের সার্বক্ষণিক কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ এনজিওটি করোনা সন্দেহ ও করোনা পজেটিভ ২ শতাধিক মুসলমানের মৃতদেহের গোসল ও কাফন-দাফনের কাজ সম্পন্ন করেছে। সেইসাথে ২০ জনের অধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর লাশের সৎকার করে মানবতার অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে প্রয়োজনে আরো প্রায় ২০ টি অ্যাম্বুলেন্সসহ স্বেচ্ছাসেবক টিম রিজার্ভ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জাতির এ ভয়াবহ দুর্যোগকালে আল-মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশ -এর মানবতাবাদী কার্যক্রমে বিভিন্ন সংস্থা, দু’টি আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ অনেকেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এনজিওটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হামযা ইসলাম বলেন, সংস্থাটি সরকারের সহযোগিতার মধ্য দিয়েই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও সন্দেহভাজনদের দাফন কাজে যুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পরামর্শ নিয়েই আমরা করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফনসহ অন্যান্য সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আমাদের সংস্থার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। বিশিষ্ট শিল্পপতি সালমান এফ রহমান করোনায় মৃত ব্যক্তিদের কাফনের কাপড়, অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি ও কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

মোহাম্মদ হামযা জানান, করোনায় মৃত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃতদের লাশ দাফনে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় এনটিভি, চ্যানেল-৯, আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিআরসি ও বিডিআরসিএস আল-মারকাজুল ইসলামীর প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশে এ এনজিওটি সম্প্রতি রাজধানীর ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে তিন দিন ১৫০ জন পুলিশকে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফনের কার্যক্রম ট্রেনিং দিয়েও পুলিশ কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হামযা বলেন, সরকার যদি আল-মারকাজুল ইসলামীকে আইসিইউ স্থাপন করতে আর্থিক সহায়তা দেয় তাহলে দেড়শ’ জনবল নিয়ে সার্বক্ষণিক করোনা ভাইরাস সংশ্লিষ্ট সেবা দিতে প্রস্তুত আছে মারকাজ পরিবারের সদস্যরা। এতে মহাসঙ্কটকালে সরকার তার ভাবমুর্তি রক্ষা করতে পারবেন বলেও হামযা দাবি করেন।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শুধু করোনা নিয়েই কাজ করছে আল-মারকাজুল ইসলামী, বিষয়টি এমন নয়। মারকাজ তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি ক্রমান্বয়ে যে সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছে তার সংক্ষিপ্ত নমুনা নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করছি:

১. বহুল আলোচিত করোনা পরিস্থিতিতে মৃতদেহের গোসল ও কাফন-দাফন তথা সৎকার কার্যক্রম পরিচালনা।

২. খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচী। এ কর্মসূচির আওতায় ২০০০ জনকে খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেজ প্রদান করা হয়েছে। যার প্রতি প্যাকেজ সাজানো হয়েছে নিম্নে প্রদত্ত তালিকা মতে:

চাল ১০ কেজি, আটা ৫ কেজি, ডাল ২ কেজি, আলু ৩ কেজি, পিঁয়াজ ৩ কেজি, তৈল ১ লিটার, রশুন ১ কেজি, লবণ ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, গুঁড়া মরিচ আধা কেজি, গুঁড়া হলুদ আধা কেজি, চা পাতা ২৫০ গ্রাম, সাবান ৪ পিস। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৮০০ টাকা।

৩. রমজান উপলক্ষে ইফতার ও সেহরির জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য বা তার সমপরিমাণ মূল্য বিতরণ। এ কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর সারা দেশে বিভিন্ন এলাকার মসজিদ ও মাদরাসায় খেজুর, মুড়ি, কলা, আপেল, কমলা, ছোলা ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়।

৪. ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ডিস। এ কর্মসূচির আওতায় ৩৪ টি এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সারা দেশের অসংখ্য গরিব ও অসহায় রোগীদের হাসপাতালে আনা নেওয়া করা হয়। সেইসাথে লাশ পরিবহনের কাজও সুচারুরূপে পরিচালনা করে আসছে।

৫. চক্ষু ও স্বাস্থ্য সেবা। আল-মারকাজুল ইসলামী ২০০২ সালে তার নিজস্ব অর্থায়নে ঢাকায় একটি উন্নতমানের হাসপাতাল নির্মাণ করে। যা চক্ষু ও সাধারণ স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজনীয়, মানসম্মত ও উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত। চক্ষু বিভাগে গরিব দুস্থ মানুষের ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করা হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনগুলো নামমাত্র মূল্য পরিশোধে সম্পন্ন করা হয়।

৬. গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ, খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ। এ কর্মসূচির আওতায় যে কোন দুর্যোগে চাল চুলো হারানো মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়া হয় এবং দুর্যোগকালীন সময়ে ত্রাণ নিশ্চিত করা হয়।

৭. স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা। এ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় এক হাজার হ্যান্ড টিউবওয়েল স্থাপন করেছে এবং এক শতাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে।

৮. মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এ কর্মসূচির আওতায় মারকাজ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ১৭ টি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছে। যাতে পৃথক বালক-বালিকা শাখাসহ অন্ধদের জন্যেও রয়েছে ভিন্ন ক্যাম্পাস। এ সকল প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাতশত এতিম, অসহায় ও অন্ধ বালক বালিকাদের দ্বীনী শিক্ষা, খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

৯. মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ। এ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ১৫০টি ওযুখানাসহ দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে আল মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশ।

১০. লাভলী স্মাইল প্রজেক্ট। এ কর্মসূচির আওতায় শতাধিক শিশু যাদের জন্ম থেকে ঠোঁট কাটা বা ঠোঁট ও নাক উভয়‌ই কাটা, তাদের বিনামূল্যে অপারেশন করে সুন্দর হাসি নিশ্চিত করেছে।

১১. মরদেহের কাফন-দাফন কার্যক্রম। এ কর্মসূচির আওতায় নারী-পুরুষের আলাদা মরদেহ গোসলের ঘর নির্মাণ এবং গোসলের জন্য উন্নত মানের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও বিনামূল্যে কাফন দাফনের বন্দোবস্ত করে থাকে এর আওতায়। সেইসাথে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সকল বেওয়ারিশ লাশ আল-মারকাজুল ইসলামী স্বাচ্ছন্দে শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করে থাকে।

১২. প্রতিবন্ধীদের সহায়তা প্রকল্প। এ কর্মসূচির আওতায় শতাধিক প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ ব্যক্তিকে হুইলচেয়ার প্রদান করেছে।

১৩. অরফান প্রজেক্ট। এ প্রকল্পের আওতায় নিজস্ব প্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন মাদরাসায় এতিমদের মাঝে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসাসহ শিক্ষা ভাতা প্রদান করে থাকে।

১৪. কারিগরী শিক্ষা ও সহায়তা। এ প্রকল্পের আওতায় আয় রোজগারহীন পরিবারের সদস্যদেরকে সেলাই কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

১৫. কুরআন শরীফ বিতরণ। এ কর্মসূচির আওতায় নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০,০০০ কপি কুরআন শরীফ ছাপানো হয়েছে। যা ইতিমধ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্প চলতে থাকবে ইনশা আল্লাহ্।

১৬. অসহায়দের বিবাহ প্রকল্প। এ কর্মসূচির আওতায় বহু অসহায় পরিবারের উপযুক্ত কন্যাদেরকে মারকাজ নিজ খরচে বিবাহ দিয়েছে।

১৭. রিকশা ও ভ্যান প্রকল্প। এ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ২৫০ অসচ্ছল পরিবারের মাঝে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ১০০ রিকশা ও ১৫০ ভ্যান প্রদান করেছে।

১৮. কুরবানী প্রদান কর্মসূচী। এ কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরিব ও দুস্থদের মাঝে কুরবানীর পশু বিতরণ, কুরবানীর পশুর গোশত বিতরণ বা কুরবানীর পশু ক্রয়ের মূল্য বিতরণ করে থাকে।

১৯. দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এ কর্মসূচির আওতায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে একটি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করেছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় যে কোন প্রকার দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

২০. নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের সেবায়‌ও ব্যাপক অবদান রেখেছে আল মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশ। এককথায় এমন কোন সেবা সেক্টর নেই যেই সেক্টরে প্রতিষ্ঠানটি সেবামূলক কাজ আঞ্জাম দেয় না।

 

সর্বোপরি আল-মারকাজুল ইসলামী মানুষের মৌলিক অধিকার তথা অসহায় ও দুস্থদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে তাদের সকল প্রতিষ্ঠানে প্রায় পাঁচশত কর্মকর্তা কর্মচারী নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। বড় আশা জাগানিয়া বিষয় হলো, তাদের অধিকাংশই দৈনিক নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের বাহিরে খেদমতে খালকের উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাদের এ পথচলা কুসুম কাননে নয়, বড়ই কন্টকাকীর্ণ পথে। কেননা এটা তো সবাই জানে যে, পরশ্রীকাতর এ জাতি খায়ও না খেতেও দেয়না। নিজে ভালো কাজ করার নাম নেই, কেউ করুক তাও সহ্য করতে পারে না। মারকাজের কার্যক্রম ব্যাহত করতে আজ অবধি বহু কোশেশ করেছে অনেকেই। কিন্তু আল্লাহ সহায় হয়েছেন, বাধ সাধতে দেননি। এইতো সেদিনও শুনলাম মারকাজের ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার কথা। এ সমস্ত করে কি আর লাভ, ঝিনুক দিয়ে তো আর সাগর সেঁচা যাবে না!

সবশেষে আল-মারকাজুল ইসলামীর চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ (বিশেষত তথ্য সংগ্রহে সহযোগিতা করায় প্রিয় জুবায়ের ভাই) ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। এই চেতনা উজ্জীবিত থাকুক অনন্তকাল।