ঝিনাইগাতীতে রাস্তা না থাকায় কাজে আসছে না কোটি টাকার ব্রিজ: দুর্ভোগে ১৫ গ্রামের মানুষ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ২১ ২০২০, ২২:২৮

মোঃ নাইমুর রহমান তালুকদার, শেরপুর প্রতিনিধি: 

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাটিয়াপাড়া-বাগেরভিটা রাস্তা সংস্কার, সম্প্রসারণ ও পাকাকরণের অভাবে এলজিইডি’র প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ব্রিজটি কাজে আসছে না গ্রামবাসীদের। এতে প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাটিয়াপাড়া সিএনবি রোড থেকে সারিকালিনগর, গজারমারী হয়ে বাগেরভিটা বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তা। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এ রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি উঠে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাসও পাওয়া যায়। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

এ পথে মাটিয়াপাড়া, সারিকালিনগর, বালুরচর, কালিনগর, নয়াপাড়া, দাড়িয়ারপাড়, কান্দুলী, কোচনিপাড়া, বাগেরভিটা ও কোনাগাঁও, আহম্মদনগর, কালিনগর, জরাকুড়া, পাইকুড়া ও ধানশাইলসহ ১৫টি গ্রামের শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু রাস্তাটি পাকাকরনের অভাবে পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কালিনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন, সুমন মিয়া, তারা মিয়া, তুতা মিয়া, কোনাগাও গ্রামের লিটন মিয়া, মজনু মিয়াসহ গ্রামবাসিরা জানান, শুষ্ক মৌসুমে যেমন-তেমন, বর্ষা মৌসুমে এ পথে যাতায়াতকারীদের দূর্ভোগের সীমা থাকে না। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও গবাদী পশু পারাপারে সীমাহীন বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের। ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। ওই সময় গ্রামবাসীদের পারাপারে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। তখন মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, রাস্তাটি নির্মাণ না করেই ২০০৪ সালে এ রাস্তার মাঝখানে গজারমারীতে নির্মাণ করা হয় ব্রিজ। দুই পাশে রাস্তা না থাকায় এলজিইডি’র প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ব্রিজটি কাজে আসছে না গ্রামবাসীদের। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমেও ব্রিজটি গ্রামবাসীদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাক্কলনসহ ওই রাস্তা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই রাস্তাটি অনুমোদন হতে পারে।