জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক: কাদের

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ২৭ ২০২১, ১৫:৫০

জিয়াউর রহমান নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রক্ত দিয়ে অর্জিত এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আজকের উগ্র সাম্প্রদায়িকতার উৎসমুখ জিয়াউর রহমানই উন্মুক্ত করেছিলেন।

জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয়বাংলাকে করেছিলেন নিষিদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তীকালে তার ভূমিকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন সেক্টর কমান্ডারের এমন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি তোষণ ও পোষণ নীতিতে ইতিহাস নিজেই জিয়াউর রহমানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।

১৫ আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসের নির্মম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান বেনিফিশিয়ারি ছিলেন জিয়াউর রহমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানই খুনীদের পুনর্বাসন করেছিলেন, বিভিন্ন দূতাবাসে দিয়েছেন চাকরি এবং খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতেও সহযোগিতা করেছেন।

ওবায়দুল কাদের জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক বলেও মন্তব্য করেন।

মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বিতর্কিত ও বসন্তের কোকিলদের দলে আনা যাবে না।

আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য ৫ম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য ধাপের মতো আগামীকালের নির্বাচনেও সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলে জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে এগিয়ে নিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রার্থিতাসহ অন্যান্য বিষয়ে দলীয় নির্দেশনা বা গাইড লাইন ইতিমধ্যেই জেলায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

প্রত্যেক ইউনিয়ন কমিটি সভা করে এক থেকে তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে দলের ইউনিয়ন কমিটির রেজুলেশন বা লিখিত সুপারিশ উপজেলা ও জেলা কমিটির স্বাক্ষরসহ ধানমন্ডির দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্থানীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুপারিশকৃত নামসমূহ যাচাই বাছাই ও বিভিন্ন জরিপ শেষে দলীয় সভাপতির নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থিতা চূড়ান্ত করবে।