জিলহজ্বের প্রথম দশক: পূণ্যের আধার

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ৩০ ২০২২, ০৭:৫৫

মাওলানা রশীদ আহমদ কাসেমী: ঈমানদার বান্দার উপর আল্লাহ তাআলার বিশেষ দয়া ও অনুগ্রহের একটি হল, তিনি ঈমানদারদেরকে তাঁর অধিক নৈকট্য অর্জনের নিমিত্তে ইবাদতের জন্য বিশেষ বিশেষ কিছু সময়কে ইবাদতের মৌসুম হিসেবে নির্ধারিত করে দিয়েছেন; যেন বান্দা সেই সময় আ’মালে সালেহা তথা নেক আমল করে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করতে পারে। সেই মৌসুম সমূহের অন্যতম একটি উৎকৃষ্ট ও ফযীলতপূর্ণ সময় হল, আশারায়ে যিলহজ্ব বা যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন। এই দশ দিনে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ আমল রয়েছে, যা পালন করতে পবিত্র কুরআন কারীম এবং হাদীসে নববীতে বান্দাদের উৎসাহিত করা হয়েছে।

মহান রব্বুল আলামীন এই দশ দিনের সম্মান ও গুরুত্বের কথা বলতে গিয়ে এই দশ দিনের রজনীগুলোর নামে শপথ করে বলেন-

﴿وَالْفَجْرِ وَلَيَالٍ عَشْرٍ﴾
অর্থ: শপথ ভোরবেলার, শপথ দশ রাত্রির। (সূরা ফজর: ১-২)
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা., হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা. ও মুজাহিদ রাহ. সহ অধিকাংশ সাহাবী, তাবেয়ী ও মুফাসসিরগণের মত অনুযায়ী উল্লেখিত আয়াতগুলোতে দশ রাত্রির দ্বারা যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ রাতকেই বুঝানো হয়েছে। ইমাম কুরতুবী রাহ. এবং হাফেয ইবনে কাসীর রাহ. বলেন, এটিই বিশুদ্ধ মত। তাফসীরে কুরতুবী ২০/৩৯, তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৫৩৫-৫৩৬
হাদীস শরীফে এই মাসের প্রথম দশকের ফযীলত নিয়ে অসংখ্য হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সহীহ বুখারীতে ইমাম বুখারী রহ. এই মাসের আমলের গুরুত্ব সম্পর্কে স্বতন্ত্র একটি অধ্যায় নিয়ে এসেছেন। সেখানে তিনি প্রথমেই কুরআন কারীম থেকে এর গুরুত্ব উল্লেখ করে লিখেন-
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: ” وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ: أَيَّامُ العَشْرِ
হযরত উবনু আব্বাস রাযি. ‘আল্লাহ তাআলার বাণী- “নির্দিষ্ট দিন সমূহে তোমরা আল্লাহ তাআলার নাম উচ্চারণ করো” এর ব্যাখ্যায় বলেন, নির্দিষ্ট দিনসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য হল যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশক।
প্রথম দশকের দিনগুলো আল্লাহ তাআলার নিকট সমস্ত দুনিয়ার দিনসমূহের অপেক্ষা বেশি মর্যাদাপূর্ণ, এবং এই দিনগুলোতে ইবাদত করা আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় অন্যান্য দিনের ইবাদত অপেক্ষা।
এই দিনগুলোর ফযীলত সম্পর্কে হযরত ইবনু আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
مَا العَمَلُ فِي أَيَّامٍ أَفْضَلَ مِنْهَا فِي هَذِهِ قَالُوا: وَلَا الجِهَادُ؟ قَالَ: وَلَا الجِهَادُ، إِلَّا رَجُلٌ خَرَجَ يُخَاطِرُ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ، فَلَمْ يَرْجِعْ بِشَيْءٍ
অর্থ: যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিনের আমলের চেয়ে অন্য কোন দিনের আমলই উত্তম নয়, তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও কি (উত্তম) নয়? নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম) বললেন: জিহাদও নয়, তবে সে ব্যক্তির কথা ছাড়া যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়েও জিহাদে যায় এবং কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না। (সহীহ বুখারী হাদীস নং ৯৬৯) জামে’ তিরমিযী, হাদীস : ৭৫৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৭২৭।
অপর এক হাদীসে হযরত ইবনু উমর রাযি. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
” مَا مِنْ أَيَّامٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللهِ وَلَا أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنَ الْعَمَلِ فِيهِنَّ مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ الْعَشْرِ، فَأَكْثِرُوا فِيهِنَّ مِنَ التَّحْمِيدِ، وَالتَّكْبِيرِ، وَالتَّهْلِيلِ ”
অর্থ: আল্লাহ তাআলার নিকট আশারায়ে যিলহজ্বের আমলের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সুতরাং তোমরা সেই দিবসগুলোতে বেশি বেশি তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) ও তাকবীর (আল্লাহু আকবার) এবং তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) পাঠ করো। (শুআবুল ঈমান-বায়হাকী, হাদীস : ৩৭৫০; আলমু’জামুল কাবীর, হাদীস : ১১১১৬; শরহু মুশকিলিল আছার, হাদীস : ২৯৭১।)
জিলহজ্বের প্রথম দশকের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ
যিলহজ্বের প্রথম দশকের সকল আমল তথা নফল রোযা, নফল নামায, কুরআন কারীমের তিলাওয়াত, দান-সাদাকাহ সকল আমলই আল্লাহ তাআলার নিকট অধিক প্রিয় এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপযুক্ত মাধ্যম। এজন্যই আল্লাহ তাআলার পূর্ববর্তী নেককার বান্দাগণ এই দিনগুলাতে সর্বোচ্চ পরিমাণে ইবাদত বন্দেগীতে নিমগ্ন থাকতেন। বিভিন্ন হাদীসে এই দশকের বিশেষ কিছু আমলের কথাও বর্ণিত হয়েছে। যেমন-
১. অধিক পরিমাণে রোযার ইহতিমাম করা।
ঈদুল আযহার দিন ব্যতিত প্রথম নয়দিন রোযা রাখা। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে-
إنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ تِسْعًا مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَيَوْمَ عَاشُورَاءَ، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، أَوَّلَ اثْنَيْنِ مِنَ الشَّهْرِ وَخَمِيسَيْنِ
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলহজ্ব মাসের নয়দিন, আশুরার দিন এবং প্রত্যেক মাসের তিন দিন রোযা পালন করতেন-মাসের সোমবার এবং দুই বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৪৩৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ২২২৩৪; সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ২৪১৬।)
হযরত হাফসা রা. থেকে অপর এক বর্ণনায় এসেছে-
أَرْبَعٌ لَمْ يَكُنْ يَدَعُهُنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صِيَامَ عَاشُورَاءَ، وَالْعَشْرَ، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ
অর্থ: হযরত হাফসা রাযি. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: চারটি আমল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোযা, যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা, প্রত্যেক মাসের তিন দিনের রোযা, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামায। -সুনানে নাসায়ী, হাদীস: ২৪১৫; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস: ৬৪২২; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস : ৭০৪২; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ২৬৩৩৯।
হযরত আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
مَا مِنْ أَيَّامٍ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ أَنْ يُتَعَبَّدَ لَهُ فِيهَا مِنْ عَشْرِ ذِي الحِجَّةِ، يَعْدِلُ صِيَامُ كُلِّ يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ، وَقِيَامُ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ القَدْرِ
অর্থ: এমন কোন দিন নেই যে দিনগুলোর (নফল) ইবাদাত আল্লাহ তাআলার নিকট যিলহজ্ব মাসের দশ দিনের ইবাদত হতে বেশি প্রিয়। এই দশ দিনের রোযা এক বছরের রোযার সমকক্ষ এবং এর প্রতিটি রাতের ইবাদত কাদরের রাতের ইবাদতের সমকক্ষ। (জামে’ তিরমিযী ৭৫৮, সুনানে ইবনে মাজাহ ১৭২৮।
উপর্যুক্ত হাদীসে দুর্বলতা থাকলেও এ বিষয়ক একাধিক হাদীসের ব্যাপকতা থেকে প্রতিভাত হয় যে, যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।
২. চুল, নখ, গোঁফ ইত্যাদি কর্তন না করা।
যিলহজ্বের প্রথম দশকের আরেকটি মুস্তাহাব আমল হল, যিলহজ্বের চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানীর আগ পর্যন্ত নখ, চুল, গোঁফ, নাভীর নিচের পশম ইত্যাদি না কাটা।
হযরত উম্মে সালামা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ كَانَ لَهُ ذِبْحٌ يَذْبَحُهُ فَإِذَا أُهِلَّ هِلَالُ ذِي الْحِجَّةِ، فَلَا يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ، وَلَا مِنْ أَظْفَارِهِ شَيْئًا حَتَّى يُضَحِّيَ
অর্থ: যে লোকের কাছে কুরবানীর পশু আছে সে যেন যিলহজ্ব মাসের নতুন চাঁদ দেখার পর ঈদের দিন থেকে কুরবানী করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে। । -সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৫০১৫; জামে’ তিরমিযী, হাদীস : ১৫২৩; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৭৯১।
আর যে ব্যক্তি কুরবানী করতে অক্ষম সেও এ আমল পালন করতে পারবে। অর্থাৎ যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে চুল, নখ, গোঁফ ইত্যাদি কাটবে না; বরং তা কুরবানীর দিনে কাটবে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. থেকে বর্ণিত,
إن رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ: أُمِرْتُ بِيَوْمِ الْأَضْحَى عِيدًا جَعَلَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ، فَقَالَ الرَّجُلُ: أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَجِدْ إِلَّا مَنِيحَةً أُنْثَى أَفَأُضَحِّي بِهَا؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ تَأْخُذُ مِنْ شَعْرِكَ، وَتُقَلِّمُ أَظْفَارَكَ، وَتَقُصُّ شَارِبَكَ، وَتَحْلِقُ عَانَتَكَ، فَذَلِكَ تَمَامُ أُضْحِيَّتِكَ عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
অর্থ: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বললেন, কুরবানীর দিনকে ঈদেও দিন করার জন্য আমাকে আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা এই উম্মতের জন্য একে সাব্যস্ত করেছেন। তখন ঐ ব্যক্তি বললেন: যদি আমি দুধ পান করার জন্য অন্যেও দান করা পশু ব্যতিত অন্য কিছু না পাই, তাহলে কি আমি তা-ই কুরবানী করবো? তিনি বললেন: না, কিন্তু তুমি তোমার চুল, নখ, কেটে ফেলবে এবং গোঁফ ছোট করবে এবং তোমার নাভীর নিচের পশম কামাবে। এটাই হবে আল্লাহর নিকট তোমার কুরবানীর পূর্ণতা। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ৬৫৭৫; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৭৭৩; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৭৮৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ৪৩৬৫
অর্থাৎ যারা কুরবানী করতে সক্ষম নয় তারাও যেন মুসলমানদের সাথে ঈদের আনন্দ ও খুশি উদযাপনে অংশীদার হয়। তারা এগুলো কর্তন করেও পরিপূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবে। অনুরূপভাবে হাজীদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী হবে।
ইমাম ইবনে হিব্বান, ইমাম হাকিম নাইসাবুরী, শায়খ শুআইব আরনাউত রাহিমাহুমুল্লাহ সকলেই হাদীসটি সম্পর্কে বলেছেন “إسناده قوي” “إسناده حسن” অর্থাৎ সনদটি শক্তিশালী বা সনদটি হাসান। (দ্র. মুসনাদে আহমদ ১১/১৩৯ টীকা)
উল্লেখ্য, এই হুকুম শুধু তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যারা যিলকদ মাসের শেষদিকে নখ-চুল কেটেছে। অন্যথায় নখ-চুল অতিরিক্ত লম্বা হয়ে যাবে। যা সুন্নাতের খেলাফ। আর যদি এই দশকে নখ-চুল ও অবাঞ্ছিত পশম কাটা থেকে বিরত থাকলে এসবকিছু না কাটার মেয়াদ ৪০ দিন অতিক্রম হয় তবে উল্লেখিত আমল করা যাবে না। কারণ, সহীহ হাদীসে আছে, হযরত আনাস রা. বলেন- গোঁফ কর্তন করা, নখ কাটা, বগল ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করার বিষয়ে আমাদের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে যে, আমরা যেন তা ৪০ দিনের বেশি বিলম্ব না করি। (সহীহ মুসলিম হাদীস নং ২৫৮, হাশিয়াতুত তহতাবী আলালমারাকী পৃ. ২৮৭)
৩. নয় তারিখের রোযা রাখা।
যিলহজ্বের প্রথম নয় দিনের মধ্যে আরাফার দিন তথা নয় তারিখের রোযা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও ফযীলতপূর্ণ। সহীহ হাদীসে এই দিবসের রোযার ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
সহীহ মুসলিমের এক দীর্ঘ হাদীসের শেষাংশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ، أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ، وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ
অর্থ: আরাফার দিনের (নয় তারিখের) রোযার বিষয়ে আমি আল্লাহর নিকট আশাবাদী যে, তিনি এর দ্বারা বিগত এক বছর ও আগামী বছরের গোনাহ মিটিয়ে দিবেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১১৬২; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ২৪২৫; জামে’ তিরমিযী, হাদীস : ৭৪৯; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৭৩০।
আরেক হাদীসে এসেছে-
مَنْ صَامَ يَوْمَ عَرَفَةَ غُفِرَ لَهُ سَنَتَيْنِ مُتَتَابِعَتَيْنِ
অর্থ: হযরত সাহল বিন সাআদ রাযি. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- যে ব্যক্তি আরাফার দিন (যিলহজ্বের নবম তারিখে) রোযা রাখবে তার লাগাতার দুই বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। -মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস : ৭৫৪৮; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস : ৫১৪১।
আল্লাহ তাআলা জিলহজ্বের দশকের কদর বুঝে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।