চার লাখ টাকা হলে অপারেশন হবে দুই বছরের রোকাইয়ার

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ১৭ ২০২৩, ১৮:৩৫

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: কুড়িগ্রামের দুই বছরের তাসফিয়া জান্নাত রোকাইয়া। আধো আধো কথা আর মিষ্টি হাসিতে সকলের মন কেড়ে নিতো সে।বাবা মায়ের নয়নমণি রোকাইয়ার মায়াবী চেহারা মন কাড়ে এক পলকেই।রোকাইয়াকে নিয়ে বেশ সুখেই চলছিলো গার্মেন্টস শ্রমিক বাবা মায়ের সংসার। কিন্তু হঠাৎ রোকাইয়া শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে চিকিৎসককের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসা চলতে থাকলেও সুস্থ হওয়ার কোন লক্ষণই ছিলো না। এদিকে আবার বেড়ে যাচ্ছে বুকের ধরফরানি। অবশেষে চিকিৎসকের পরামর্শে মেয়েকে নিয়ে আসেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে।

এখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা গেলো হার্টে ব্লক ও ফুটা ধরা পড়েছে মেয়ের। মিষ্টিহাসির বাচ্চা মেয়েটা দিনে দিনে যাচ্ছে মৃত্যুর দিকে ঢলে। তবে মেয়কে বাঁচাতে চাইলে করতে হবে দ্রুতই অপারেশন। অপারেশন হলেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে সে। এমনটা জানতে পেরে হাফ ছেড়ে বাঁচেন বাবা মা। কিন্তু গার্মেন্টস শ্রমিক বাবা মায়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো যখন জানতে পারলো মেয়ের অপারেশন করতে লাগবে তিন থেকে চার লাখ টাকা! বাবা মায়ের সামর্থ্য নেই এই টাকা যোগান দেওয়ার। মেয়ের চিকিৎসার জন্য বাবা মা সাহায্য সহযোগিতা চাইলেন দেশবাসীর কাছে।

রোকাইয়ার বাবা রয়েল মিয়া, মা আরজিনা খাতুন। বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের তিস্তা অববাহিকার সন্তোষ অভিরাম গ্রামে। পেশায় গার্মেন্টস শ্রমিক হওয়ায় বর্তমানে আছেন গাজীপুর সাইনবোর্ড এলাকায়।

রোকাইয়ার বাবা রয়েল জানান, অসুস্হ মেয়কে চিকিৎসকের পরামর্শে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডাঃ তাহমিনা জান্নাত হাসান হার্ট ব্লক ও ফুটো হওয়ার কথা জানিয়ে প্রেসক্রিপশন দেন। অপারেশন করলে ঠিক হবে জানিয়ে তারা জানান এতে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ হবে। আমি গার্মেন্টস শ্রমিক, নদী ভাঙা মানুষ। দুশ্চিন্তায় আছি মেয়েকে নিয়ে। মেয়েটার দিকে তাকালে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না। আমার তো সামর্থ্য নেই, মেয়েটাকে বাঁচাতে যে যেভাবে পারেন একটু সাহায্য করুন।আপনাদের সহায়তায় যেন অপারেশন করতে পারি। আল্লাহ রহমত করলে আমার কলিজার টুকরাটা সুস্থ হব।

রোকাইয়াকে চিকিৎসা সহায়তা করতে চাইলে যোগাযোগ করুন— 

স্থায়ী ঠিকানা : রয়েল মিয়া, পিতাঃ আবদুল খালেক, মাতাঃখাদিজা বেগম। গ্রামঃ সন্তোষ অভিরাম, ইউনিয়নঃ গুনাইগাছ উপজেলাঃ উলিপুর জেলাঃ কুড়িগ্রাম। বর্তমান ঠিকানা: সাইনবোর্ড, চৌরাস্তা গাজীপুর। যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বার 01706115881 (বিকাশ)

অথবা রয়েল মিয়ার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের হিসাব নম্বর 2052-12200005109।