চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৬ হাজার ঘনফুট বালু ও ৩০০ ফুট ফাইপ জব্দ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ২৯ ২০২০, ২২:২৯

কায়সার হামিদ মানিক, স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে ৩৬ হাজার ঘনফুট বালু ও বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৩০০ ফুট প্লাস্টিকের ফাইপ এবং সরবরাহ কাজে ব্যবহৃত একটি নাম্বার প্লেট বিহীন ডাম্পার গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে একটানা বিকাল পর্যন্ত কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের খুটাখালী বনবিটের অধিন খরিখোলা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। পরে এসব জব্দকৃত বালু স্থাণীয় বন বিভাগের জিম্মায় এবং বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৩০০ ফুট প্লাস্টিকের ফাইপ ও বালু সরবরাহ কাজে ব্যবহৃত নাম্বার প্লেট বিহীন ডাম্পার গাড়িটি জব্দ করে প্রশাসনের হেফাজতে নেয়া হয়। এ সময় ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়া, থানা পুলিশ, আনসার ও বনবিভাগের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, কিছুদিন ধরে খুটাখালীর বিভিন্ন এলাকায় কতিপয় বালুদস্যু সরকারী সংরক্ষিত বনায়ন ধংস করে বিভিন্ন ছরাখালে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তা বিভিন্নস্থানে বিক্রি করে আসছিলো। ফলে সংরক্ষিত বনায়ন ধংসের পাশাপাশি নদীর দু’পাড়সহ নদী তীরবর্তী ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন ও পরিবেশের মারাতœক ক্ষতি হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওইসব এলাকায় বন বিভাগের লোকজনসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় খরিখোলা এলাকার ৪টি স্পট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে মজুদ করে রাখা ৩৬ হাজার ঘনফুট বালু, বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৩০০ ফুট প্লাস্টিকের ফাইপ এবং সরবরাহ কাজে ব্যবহৃত একটি নাম্বার প্লেট বিহীন ডাম্পার গাড়ি জব্দ করা হয়। পরে এসব জব্দকৃত বালু স্থাণীয় বন বিভাগের জিম্মায় এবং বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ৩০০ ফুট প্লাস্টিকের ফাইপ ও বালু সরবরাহ কাজে ব্যবহৃত নাম্বার প্লেট বিহীন ডাম্পার গাড়িটি জব্দ করে প্রশাসনের হেফাজতে নেয়া হয়। তবে অভিযানের খবর পেয়ে বালুদস্যুরা আগেভাগে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

আগামীতেও এসব অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারি ও মজুদ কারিদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।