ঘুরতে এসে দেশে ফিরতে নারাজঃ কলঙ্কিত জাতি, কলঙ্কিত হচ্ছে বাংলাদেশ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ০৪ ২০১৮, ০৬:০৩

সাব্বির বিন আঁকবার: দীর্ঘদিন থেকে সব ধরণের ভিসা বন্ধ অর্থাৎ ভিজিট ,ওয়ার্ক পার্মিট টুরিস্ট ভিসা ইত্যাদি সহ সব ধরণের ভিসা বন্ধ রয়েছিলো পৃথিবীর অন্যতম শীল্প নগরী আকর্ষণীয় পর্যটনভূমি ইউনাইটেড আরব আমিরাত এর ।

নানান জটিলতা কাটিয়ে সম্প্রতি কিছুদিন হলো বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিজিট ভিসা চালু করেছেন ইউনাইটেড আরব আমিরাত সরকার।
ফলে বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিনই বিমান ভরে আসতে শুরু করেছেন দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশের পর্যটকরা।

এদিকে দেশটিতে বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক পার্মিট ভিসা এখনো চালু না হওয়ায় এসুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রকৃত পর্যটকদের বাহানা ধরে প্রতিদিনই বিমান ভরে আসতে শুরু করেছেন নানান শ্রেনীর নাগরিক ।

তারা নির্দিষ্ট মেয়াদী ভিজিট ভিসায় ইমেগ্রেশন পার হলেও মেয়াদ শেষে দেশে ফিরতে নারাজ বাঙ্গালিদের অনেকেই। তারা মনে করেন অবৈধ পন্থা অবলম্বনে দেশটিতে কাজকাম এর ভেতর দিয়েই যতদিন সম্ভব কাটিয়ে দিবেন। পরে স্থানীয় পুলিশের সাড়াশি অভিযান চালু হলে যে কোন পথ বেছে নিবেন। তেমনটাই জানালেন এক বাংলাদেশী নাগরিক।
তিনি বলেন, অনেক টাকা খরচ দীর্ঘ স্বপ্ন হাতে নিয়ে ভিজিট ভিসায় দুবাইতে এসেছি।
মেয়াদ শেষ হলে দেশে ফিরে যাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,এতো টাকা খরচ করে ফেরত যেতে আসিনি।

দুবাইতে ভিজিটে এসে অবৈধ ভাবে বসবাস করলে কোন সমস্যা সৃষ্টি কিংবা লাল সবুজের (দেশের) মানহানি হবে কিনা জানতে চাইলে বৈধ থাকা এক শ্রমিক বলেন,এ দেশটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খলিত পরিবেশে বেষ্টিত। দেশটিতে কোন অপরাধীরা তাদের অপরাধ, দুর্নীতি করে বেশ এগিয়ে যেতে পারে না। যেহেতু তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডি ইত্যাদির মাধ্যমে তাকে খুব সহজেই সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেন স্থানীয় প্রশাসন।
অন্যদিকে অবৈধ বসবাসকারীদের নির্দিষ্ট কোন আইডি,বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট না থাকায় যেকোনো বড় ধরনের ক্রাইম করতেও তারা দ্বিধাবোধ করেন না। ফলে দেশটিতে বৈধভাবে অবস্থানরত প্রবাসীদের পাশাপাশি দেশের গাঁয়ে অপ্রত্যাশিত কলঙ্গের কালেমা লেপন করা হয়।
এই অবৈধ পন্থা থেকে তাদের সরিয়ে নিয়ে আসতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন প্রবাসীরা।