গহরপুরে ইসলামের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখা, এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

সেপ্টেম্বর ১২ ২০২০, ০০:৫০

আবুল কাশেম অফিক:
বালাগঞ্জের দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের গহরপুরের শিওরখাল গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরীর ছেলে নিয়ামুল হ চৌধুরী নামের এক যুবকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাসূল সা. কে অপমান করে করা কমেন্ট ও ইসলামের ঐতিহাসিক সত্য কিছু বিষয়াবলির মনগড়া অপব্যখ্যায় পুরো উপজেলা ও এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থতি বিরাজ করছে।

এ নিয়ে এলাকায় যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘাটতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় ও ফেসবুকে ওই যুবকের আইডি ঘাটাঘাটি করে জানা গেছে, অভিযুক্ত নিয়ামুল স্থানীয় এক স্কুল/ মাদরাসায় পড়াশোনাকালীন সময় থেকেই তার মনের মধ্যে ইসলাম ধর্মের প্রতি বিরদ্ধ মনোভাব তৈরী হয়। এমনকি স্থানীয় অনেকই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার পারিবারিকভাবে এই ধারণা লালন করা হয়ে থাকে। যে কারণে এই ধারণা থেকেই সে দীর্ঘদিন থেকে কৌশলে বিভিন্ন সময় ফেসবুকে তার ফেসবুক “Niaamul H Chowdhury (নিয়ামুল হ চৌধুরী)” আইডি থেকে পবিত্র ইসলাম ও নবী মুহাম্মদ, মা আয়েশা, সাহাবিদের, নিয়ে বাজে মন্তব্য করে আসছে।

এছাড়াও সে নিজে কয়েকজনের কমেন্ট লিখেছে পড়াশোনা কালীন সময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের জিহাদি ছিল, এবং বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর প্রাক্তন সদস্যও ছিল।

সাম্প্রতি md moniruzzamn suzon নামের এক আইডির পোস্টের কমেন্ট “আল্লাহ আছেন মানি কিন্তু দাসব্যবসায়ী মুহাম্মদ একটা ভন্ড ছিল, ইজ দ্যাট অকে?” একটা কমেন্ট করেছে।
এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে।

তার আপন বড় ভাই, ফাতহুল হাসানাত চৌধুরী শিমুল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এর সাথে আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিন থেকে কোন যোগাযোগ নেই, ধর্ম বিদ্বেষমূলক আচরণকারীর সাথে আমাদের যোগাযোগ থাকতে পারেনা, আপনারা যা করবেন আপনাদের সাথে আছি।

এব্যাপারে সুলতানপুর মহিলা মাদরাসার নায়বে মুহতামিম মাও. নোমানুল হক চৌধুরী বলেন, নিয়ামুলের রাসুল সা. কে অপমান করে করা কমেন্টের সমর্থনে ঐতিহাসিক সত্য বিষয়াবলির উপর নিজস্ব কিছু ব্যাখ্যা দাড় করানোর চেষ্টা করতেছে। যা সুস্পষ্ট ভ্রষ্টতা। আমি অনতিবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় সে দেশের যেখানেই থাকুক প্রশাসনকে তার বিরুদ্ধে যথাযত আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে তার বাড়িতে গিয়েছি, সে প্রায় ১০/১২ থেকে বাড়িতে থাকেনা ঢাকায় থাকে।