গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ থেকে দুই সদস্যকে অব্যাহতি 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ১২ ২০২০, ২৩:৪৫

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ দুই সদস্যকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

রবিবার (১১ অক্টোবর ) গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড.ফাহিমা খানম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা.মো: ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসান কে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যপদ সহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের বিষয়টি জানানো হয়। অপর একটিতে প্রফেসর ড.আব্দুল গাফফার মিয়াঁ কে সংগঠনের শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিষয়ক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

একই দিনে অন্য একটি বিজ্ঞপ্তিতে রেজিস্ট্রার পদে মুক্তিযোদ্ধাকে সরিয়ে রাজাকার পরিবারের সন্তানকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব প্রদানের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। এতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা.মো: ফজলুল হক কে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়। অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় নতুন রেজিস্ট্রার হিসাবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পরিবারের রাজাকারের সন্তান (সূত্র-যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা ও বিচার প্রসঙ্গ, ডা.এম.এ.হাসান, প্রকাশ ২০০৯) প্রফেসর মোহাম্মদ রাজিব হাসান, অর্থনীতি বিভাগ হাবিপ্রবি কে দায়িত্ব দেয়া হয়। রেজিস্ট্রার পদে এহেন ন্যাক্কার জনক নিয়োগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি চরম অবজ্ঞার শামিল। গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ এরুপ নিয়োগের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং সেই সাথে রেজিস্ট্রার হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা.মো: ফজলুল হক কে স্ব-পদে পুন:বহালের জোর দাবি জানাচ্ছে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসানের নাম্বারে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। পরবর্তীতে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে কথা বলতে চাইলেও তিনি তার কোন সদুত্তর দেননি। এছাড়া অধ্যাপক ড.আব্দুল গাফফার মিয়াঁ কে ফোন দেয়া হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেন নি।

প্রসঙ্গত: গত বুধবার ( ৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মু.আবুল কাসেম এর অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা.মো.ফজলুল হক কে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তদস্থলে প্রফেসর মোহাম্মদ রাজিব হাসান কে স্থলাভিষিক্ত করা হলে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।