কোম্পানীগঞ্জ থেকে বদলী চেয়ে দশ পুলিশ অফিসারের আবেদন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ১৮ ২০২১, ১৮:৩২

এম.এস আরমান,নোয়াখালী: ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে একযোগে বদলী চেয়ে আবেদন করেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় কর্মরত ১০ পুলিশ অফিসার।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ থানায় কর্মরত ১০ পুলিশ অফিসার একযোগে বদলীর আবেদন নিয়ে থানায় সকল পুলিশ সদস্যদের মধ্যে

এবং স্থানিয়দের মধ্যে চলছে নানান গুঞ্জন। বদলী চাওয়া অফিসাররা হচ্ছেন,এসআই এমরান হোসাইন,এসআই জাকির হোসেন, এসআই শাহীদ হোসাইন, এসআই মোঃ নিজাম উদ্দিন, এসআই রিয়াদুল হাসান, এএসআই বাবুল মিয়া বেগ, এএসআই মোঃ আবদুল জাহের, এএসআই মোঃ জহির হোসেন, এএসআই রবিউল আলম,এসআই সরোজ রতন আচার্য্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ অফিসার বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারনে নিজেদের সম্মান বহাল রেখে চাকুরী করা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। যে কারনে আমরা সম্মান থাকতে বিদায়ের জন্য আবেদন করেছি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল হক রনি বদলীর দরখাস্ত পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হঠাৎ করে থানায় কর্মরত বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একযোগে অন্যত্র বদলীর আবেদন জমা দিয়েছে। তবে কি কারণে তারা একযোগে বদলী চাচ্ছেন তা তিনি জানাতে পারেননি।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর অপরাজনীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও চাকুরি বানিজ্য সহ বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রায় দুই মাস যাবত আন্দোলন,ধর্মঘট ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এই অপকর্মের সাথে জড়িত নোয়াখালীর ডিসি খুরশেদ আলম খান, এসপি মো. আলমগীর, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও ওসি তদন্ত মো. রবিউল হকের প্রত্যাহার ও কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা (সন্ত্রাসী) ফখরুল ইসলাম সবুজ ও তার আশ্রয়দাতা মিজানুর রহমান বাদল ও ফখরুল ইসলাম রাহাতকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান আবদুল কাদের মির্জা।