কাশ্মীর স্বাধীনতার জন্য এখন কি প্রয়োজন?

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ০১ ২০১৯, ১৯:২০

সৈয়দ মবনু

আমার কেন জানি মনে হয়, কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা প্রয়োজন। ৭ মার্চের মতো একটি দিক নির্দেশনামূলক ভাষণ প্রয়োজন। ৬ দফার মতো আন্দোলনী ইশতেহার প্রয়োজন। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের মতো গণজোয়ারের প্রয়োজন। আগড়তলার মতো প্রবাসী সরকার গঠনের প্রয়োজন। একাত্তরের মতো নিয়মতান্ত্রিক একটি স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রয়োজন। অতঃপর আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন প্রয়োজন।

কাশ্মীরিরা যতদিন এগুলো অর্জনে ব্যর্থ হবে ততদিন কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান হবে না। শুধু শ্লোগান আর মিছিলে কোন কিছু অর্জিত হয় না। অর্জনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক এবং বুদ্ধিভিত্তিক ত্যাগের প্রয়োজন হয়। বিগত সত্তর বছরে কাশ্মীরীরা বঙ্গবন্ধুর মতো কোন নেতা পায়নি বলেই তাদের সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি। ভারত যেমন চায় না কাশ্মীর স্বাধীন হোন, তেমনি পাকিস্তানও চায় না কাশ্মীরের স্বাধীনতা। ফলে কাশ্মীরীরা তিনভাগে বিভক্ত, ১. ভারতপন্থী কাশ্মীরী, ২. পাকিস্তানপন্থী কাশ্মীরী, ৩. স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরী। ভারতপন্থীরা স্বাধীনতা চায় না, তারা চায় স্বায়ত্ব শাসন। পাকিস্তানপন্থীরা স্বাধীনতা চায় না, তারা চায় পাকিস্তানের সাথে মিশে যাওয়া। শুধু স্বাধীনতাকামীরা চায় উভয় কাশ্মীর মিলে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাধীনতাকামীদের জনপ্রিয়তা বেশি থাকলেও সহযোগিতার অভাবে তাদের কর্মতৎপরতা সীমিত। ভারত যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করে দিলো তখন ভারতপন্থী গ্রুপ আর ভারতের পক্ষে থাকতে পারলেন না, তারা সরাসরি স্বাধীনতাকামীদের পক্ষ নিয়ে আজাদি আজাদি বলতে শুরু করলেন। ফলে স্বাধীনতাকামীদের আওয়াজ এখন বড় হয়ে সামনে আসছে। পাকিস্তানপন্থীদের সহযোগিতা প্রয়োজন কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য, তাই এখন আর কেউ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বলতে চাচ্ছেন না। এখন যদি কাশ্মীরীরা বঙ্গবন্ধুর মতো স্বাধীনতাকামী নেতার নেতৃত্ব লাভ করতে পারে এবং আমাদের একাত্তরের মতো একটি প্রবাসী সরকার গঠন করে নিয়মতান্ত্রিক স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিতে পারে তবে হয়তো কাশ্মীর খুব দ্রুত স্বাধীনতা লাভ করতে পারে।